অ্যাকুরিয়ামে মাছ পালন মনিরুজ্জামান কবির সমপ্রতি
অ্যাকুরিয়ামে বাহারি রঙবেরঙের মাছ পালন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নিতান্তই শখের
বশে যারা অ্যাকুরিয়ামে মাছ পালন করতে ভালোবাসেন তাদের বলা হয় অ্যাকুরিস্ট।
ইট, পাথর, সিমেন্টে গড়া ভীষণ ব্যস্ত নগরকেন্দ্রিক জীবন ব্যবস্থায় এক পলকের
জন্য হলেও চোখ আটকে যায় ড্রইংরুম কিংবা বেডরুমের অ্যাকুরিয়ামে ওপর।
অ্যাকুরিয়াম হলো কৃত্রিম জলাধার যাতে জলজ উদ্ভিদ এবং অন্য উপকরণ স্থাপনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করে বাহারি মাছ পালন, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করা যায়। অ্যাকুরিস্টদের মূল উদ্দেশ থাকে আনন্দ লাভ কিংবা ঘরের শোভাবর্ধন করা, তাই কাচের শিট দিয়েই কৃত্রিম জলাধার তৈরি করা ভালো। কৃত্রিম জলাধার হতে হবে আয়তাকার কিংবা বর্গাকার। গোলাকার জলাশয়ে মাছ চলাচলে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না এবং বিকৃত দেখা যায়।
অ্যাকুরিয়ামে তৈরি খুব জটিল কাজ না হলেও তৈরিতে বেশ যত্নবান হতে হয়। বাড়িতে স্থাপনের জন্য একটি অ্যাকুরিয়ামের আকার হবে ১৮ থেকে ৬০ ইঞ্চি পর্যন্ত। মাছ পালনে একেবারে নবীন হলে ২৪, ১২, ১২ বা ৩০, ১৫, ১৫ ইঞ্চি আয়তনের অ্যাকুরিয়াম দিয়ে শুরু করা যেতে পারে।
কাচের অ্যাকুরিয়ামে তৈরিতে চারটি কাচের শিট গাম দিয়ে জোড়া লাগিয়ে একটি আয়তাকার ক্ষেত্র তৈরি করা হয়। নিচে একটি কাঠের শিট লাগিয়ে একটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ট্যাংক তৈরি করা হয়। কাচ জোড়া লাগানোর জন্য সিলিকন গাম ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে এমন কাচ ব্যবহার করতে হবে যা অ্যাকুরিয়ামের ভেতরের পানির চাপ সহ্য করতে পারে। অ্যাকুরিয়ামের আকার ভেদে ৪ মিলিমিটার থেকে ১০ মিলিমিটার পুরু কাচ ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যাকুরিয়ামের পানি ধূলিকণা, ময়লা ও দূষণমুক্ত রাখতে প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়াম বা কাঠ দিয়ে ঢাকনা তৈরি করা যায়। ঢাকনা আলো বা বাতি সংযোজনের জন্য বৈদ্যুতিক প্লাগ লাগাতে হবে।
নুড়িপাথর অ্যাকুরিয়ামে মূলসহ উদ্ভিদকে আবদ্ধ রাখে এবং অণুজীবের জন্য বায়োটোন হিসেবে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। অনেক নুড়ি পানিতে ধীরে ধীরে গলে যায়। অনেক নুড়িতে দ্রবণীয় ধাতব আকরিক থাকে। এ বৈশিষ্ট্যধর্মী নুড়ি অ্যাকুরিয়ামে ব্যবহার উচিত নয়। স্নেট, গ্রানাইট এবং ব্যাসাল্ট অ্যাকুরিয়ামে ব্যবহার উপযোগী আকরিক।
মাছ পালনের প্রথম এবং প্রধান উপাদান পানি। অ্যাকুরিয়ামে বৃষ্টি, পুকুর ডোবা ও ওয়াসার পানি ব্যবহার করা যায়। তবে পানিতে যেন কোনো রোগ জীবাণু, অণুজীব এবং রাসায়নিক পদার্থ না থাকে সে জন্য পানি সূক্ষ্ন ছিদ্রযুক্ত কাপড় দ্বারা কয়েকবার ছেকে নিয়ে ট্যাংকে ঢালতে হবে। ওয়াসার পানি না ব্যবহার করাই ভালো। কারণ ওয়াসার পানিতে ক্লোরিন থাকে। ক্লোরিন মাছের ফুলকা পচা এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে। বিশুদ্ধ পানি বর্ণহীন। কোনো কারণে পানির বর্ণ ঘোলাটে, লালচে বা সবুজ এবং পানিতে গন্ধ সৃষ্টি হলে সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন করে দিতে হবে।
অ্যাকুরিয়ামকে জলজ বাগানও বলা হয়ে থাকে। বাহারি মাছের জীবনযাত্রার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে জলজ উদ্ভিদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের দেশে পাওয়া যায় এবং অ্যাকুরিয়ামে লাগানোর উদ্ভিদ কয়েকটি জলজ উদ্ভিদের নাম হলো কুটিপানা, পাতা ঝাঝি, ক্ষুদিপানা, টোপাপানা, উল্কিপানা, ঘেচু, ঝাউ ঝাঝি, ইন্ডিয়ান ফার্ন, পাতা শেলা জাভা মস। উলি্লখিত উদ্ভিদগুলোর আবাসস্থল হলো পুকুর, খাল, বিল ও নদী।
সুস্থ সবল মাছ বাছাই করতে হবে। এদের চেনার উপায় হলো, এরা স্বাচ্ছন্দ্যে পানির যে কোনো স্থানে যাতায়াত করতে পারে। সুন্দর করে সুষ্ঠুভাবে অ্যাকুরিয়ামে উপস্থাপন করতে হলে উপরিস্তর, মধ্যস্তর এবং নিম্নস্তরের মাছ এক সঙ্গে ছাড়তে হবে। অ্যাকুরিয়ামে পালন উপযোগী কয়েকটি মাছের নাম দেয়া হলো। ঈযধৎধপরফধপ গোত্রের কয়েকটি মাছ রেড নোট টেট্রা (জবফ হড়ংব ঃবঃৎধ) ফেম টেট্রা (ঋষধস ঃবঃৎধ), গোললাইট টেট্রা (এষড়ষিরমযঃ ঃবঃৎধ), সার্পে টেট্রা (ঝবৎঢ়ধব ঃবঃৎধ), নিওন টেট্রা (ঘবড়হ ঃবঃৎধ), কঙ্গো টেট্রা (ঈড়হমড় ঃবঃৎধ) ইত্যাদি। অ্যাকুরিয়ামের আকার অনুযায়ী মাছের আকার ও সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে।
অ্যাকুরিয়ামের মাছের জন্য আধুনিক প্রক্রিয়াজাত খাবার দেয়াই ভালো। খাবারের বৈচিত্র্যতা মাছ পছন্দ করে। অ্যাকুরিয়ামে শুকনো খাবারের সঙ্গে জীবন্ত পরিবেশন করা যেতে পারে। জীবন্ত খাবার জলজ ও স্থলজ দু'ধরনের হতে পারে। অ্যাকুরিয়ামের স্বাদু পানির মাছের জন্য ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা সর্বোত্তম।
অ্যাকুরিয়ামের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার সঠিক পরিমাণ আলো প্রয়োজন। ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা একটি অ্যাকুরিয়ামে প্রয়োজনীয় আলো সরবরাহের জন্য ৩০ সেন্টিমিটার আকারের (২০ ওয়ার্ট) একটি টিউবই যথেষ্ট। ট্যাঙ্কের আকার ৫০ সেন্টিমিটার হলে ওই আকারের দুটি টিউব প্রয়োজন হয়।
অ্যাকুরিয়ামে নিজে তৈরি কিংবা বাজার থেকে কিনতে পারেন। ঢাকার কাঁটাবন এলাকায় গড়ে ওঠা পশুপাখির মার্কেটে অ্যাকুরিয়ামে দরকারি যাবতীয় জিনিসপত্র কিনতে পারবেন। তাছাড়া ফার্মগেট, শ্যামলী, মতিঝিল ও উত্তরা এলাকা থেকে অ্যাকুরিয়াম ক্রয় করতে পারবেন। আকার ও আয়তন ভেদে দরদামেও রয়েছে ভিন্নতা।
Source: http://www.jjdin.com
অ্যাকুরিয়াম হলো কৃত্রিম জলাধার যাতে জলজ উদ্ভিদ এবং অন্য উপকরণ স্থাপনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করে বাহারি মাছ পালন, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করা যায়। অ্যাকুরিস্টদের মূল উদ্দেশ থাকে আনন্দ লাভ কিংবা ঘরের শোভাবর্ধন করা, তাই কাচের শিট দিয়েই কৃত্রিম জলাধার তৈরি করা ভালো। কৃত্রিম জলাধার হতে হবে আয়তাকার কিংবা বর্গাকার। গোলাকার জলাশয়ে মাছ চলাচলে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না এবং বিকৃত দেখা যায়।
অ্যাকুরিয়ামে তৈরি খুব জটিল কাজ না হলেও তৈরিতে বেশ যত্নবান হতে হয়। বাড়িতে স্থাপনের জন্য একটি অ্যাকুরিয়ামের আকার হবে ১৮ থেকে ৬০ ইঞ্চি পর্যন্ত। মাছ পালনে একেবারে নবীন হলে ২৪, ১২, ১২ বা ৩০, ১৫, ১৫ ইঞ্চি আয়তনের অ্যাকুরিয়াম দিয়ে শুরু করা যেতে পারে।
কাচের অ্যাকুরিয়ামে তৈরিতে চারটি কাচের শিট গাম দিয়ে জোড়া লাগিয়ে একটি আয়তাকার ক্ষেত্র তৈরি করা হয়। নিচে একটি কাঠের শিট লাগিয়ে একটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ট্যাংক তৈরি করা হয়। কাচ জোড়া লাগানোর জন্য সিলিকন গাম ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে এমন কাচ ব্যবহার করতে হবে যা অ্যাকুরিয়ামের ভেতরের পানির চাপ সহ্য করতে পারে। অ্যাকুরিয়ামের আকার ভেদে ৪ মিলিমিটার থেকে ১০ মিলিমিটার পুরু কাচ ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যাকুরিয়ামের পানি ধূলিকণা, ময়লা ও দূষণমুক্ত রাখতে প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়াম বা কাঠ দিয়ে ঢাকনা তৈরি করা যায়। ঢাকনা আলো বা বাতি সংযোজনের জন্য বৈদ্যুতিক প্লাগ লাগাতে হবে।
নুড়িপাথর অ্যাকুরিয়ামে মূলসহ উদ্ভিদকে আবদ্ধ রাখে এবং অণুজীবের জন্য বায়োটোন হিসেবে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। অনেক নুড়ি পানিতে ধীরে ধীরে গলে যায়। অনেক নুড়িতে দ্রবণীয় ধাতব আকরিক থাকে। এ বৈশিষ্ট্যধর্মী নুড়ি অ্যাকুরিয়ামে ব্যবহার উচিত নয়। স্নেট, গ্রানাইট এবং ব্যাসাল্ট অ্যাকুরিয়ামে ব্যবহার উপযোগী আকরিক।
মাছ পালনের প্রথম এবং প্রধান উপাদান পানি। অ্যাকুরিয়ামে বৃষ্টি, পুকুর ডোবা ও ওয়াসার পানি ব্যবহার করা যায়। তবে পানিতে যেন কোনো রোগ জীবাণু, অণুজীব এবং রাসায়নিক পদার্থ না থাকে সে জন্য পানি সূক্ষ্ন ছিদ্রযুক্ত কাপড় দ্বারা কয়েকবার ছেকে নিয়ে ট্যাংকে ঢালতে হবে। ওয়াসার পানি না ব্যবহার করাই ভালো। কারণ ওয়াসার পানিতে ক্লোরিন থাকে। ক্লোরিন মাছের ফুলকা পচা এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে। বিশুদ্ধ পানি বর্ণহীন। কোনো কারণে পানির বর্ণ ঘোলাটে, লালচে বা সবুজ এবং পানিতে গন্ধ সৃষ্টি হলে সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন করে দিতে হবে।
অ্যাকুরিয়ামকে জলজ বাগানও বলা হয়ে থাকে। বাহারি মাছের জীবনযাত্রার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে জলজ উদ্ভিদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের দেশে পাওয়া যায় এবং অ্যাকুরিয়ামে লাগানোর উদ্ভিদ কয়েকটি জলজ উদ্ভিদের নাম হলো কুটিপানা, পাতা ঝাঝি, ক্ষুদিপানা, টোপাপানা, উল্কিপানা, ঘেচু, ঝাউ ঝাঝি, ইন্ডিয়ান ফার্ন, পাতা শেলা জাভা মস। উলি্লখিত উদ্ভিদগুলোর আবাসস্থল হলো পুকুর, খাল, বিল ও নদী।
সুস্থ সবল মাছ বাছাই করতে হবে। এদের চেনার উপায় হলো, এরা স্বাচ্ছন্দ্যে পানির যে কোনো স্থানে যাতায়াত করতে পারে। সুন্দর করে সুষ্ঠুভাবে অ্যাকুরিয়ামে উপস্থাপন করতে হলে উপরিস্তর, মধ্যস্তর এবং নিম্নস্তরের মাছ এক সঙ্গে ছাড়তে হবে। অ্যাকুরিয়ামে পালন উপযোগী কয়েকটি মাছের নাম দেয়া হলো। ঈযধৎধপরফধপ গোত্রের কয়েকটি মাছ রেড নোট টেট্রা (জবফ হড়ংব ঃবঃৎধ) ফেম টেট্রা (ঋষধস ঃবঃৎধ), গোললাইট টেট্রা (এষড়ষিরমযঃ ঃবঃৎধ), সার্পে টেট্রা (ঝবৎঢ়ধব ঃবঃৎধ), নিওন টেট্রা (ঘবড়হ ঃবঃৎধ), কঙ্গো টেট্রা (ঈড়হমড় ঃবঃৎধ) ইত্যাদি। অ্যাকুরিয়ামের আকার অনুযায়ী মাছের আকার ও সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে।
অ্যাকুরিয়ামের মাছের জন্য আধুনিক প্রক্রিয়াজাত খাবার দেয়াই ভালো। খাবারের বৈচিত্র্যতা মাছ পছন্দ করে। অ্যাকুরিয়ামে শুকনো খাবারের সঙ্গে জীবন্ত পরিবেশন করা যেতে পারে। জীবন্ত খাবার জলজ ও স্থলজ দু'ধরনের হতে পারে। অ্যাকুরিয়ামের স্বাদু পানির মাছের জন্য ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা সর্বোত্তম।
অ্যাকুরিয়ামের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার সঠিক পরিমাণ আলো প্রয়োজন। ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা একটি অ্যাকুরিয়ামে প্রয়োজনীয় আলো সরবরাহের জন্য ৩০ সেন্টিমিটার আকারের (২০ ওয়ার্ট) একটি টিউবই যথেষ্ট। ট্যাঙ্কের আকার ৫০ সেন্টিমিটার হলে ওই আকারের দুটি টিউব প্রয়োজন হয়।
অ্যাকুরিয়ামে নিজে তৈরি কিংবা বাজার থেকে কিনতে পারেন। ঢাকার কাঁটাবন এলাকায় গড়ে ওঠা পশুপাখির মার্কেটে অ্যাকুরিয়ামে দরকারি যাবতীয় জিনিসপত্র কিনতে পারবেন। তাছাড়া ফার্মগেট, শ্যামলী, মতিঝিল ও উত্তরা এলাকা থেকে অ্যাকুরিয়াম ক্রয় করতে পারবেন। আকার ও আয়তন ভেদে দরদামেও রয়েছে ভিন্নতা।
Source: http://www.jjdin.com