Pages

Friday, March 9, 2012

ঘর সাজাতে কুশন

ঘর সাজাতে কুশনসোফা, ডিভান বা বিছানার জন্য ব্যবহৃত কুশনকভারের কাপড়টা অপেক্ষাকৃত পাতলা হয়। অন্যদিকে মেঝেতে শতরঞ্জি পেতে যে কুশন রাখা হয়, এর কভারের কাপড়টা একটু ভারী ও গাঢ় রঙের হওয়া উচিত-ফাহমিদা মুন  
ঘর সাজাতে কেনা হলো বড় কোনো সোফা। কিন্তু তাতে নেই কোনো কুশন। তাহলে কিন্তু সোফাটি ফাঁকা দেখাবে। আবার এমন হতে পারে, কুশন কিনেছেন কিন্তু তা সোফার সঙ্গে মানাচ্ছে না। এ রকম হলে বিপদ। কুশনকভার গরমের সময় হলে একটু গাঢ় রঙ, আর গরমের তীব্রতা কম হলে অপেক্ষাকৃত হালকা রঙের কুশনকভার ব্যবহার করা যেতে পারে। সোফা, ডিভান বা বিছানার জন্য ব্যবহৃত কুশনকভারের কাপড়টা অপেক্ষাকৃত পাতলা হয়। অন্যদিকে মেঝেতে শতরঞ্জি পেতে যে কুশন রাখা হয়, এর কভারের কাপড়টা একটু ভারী ও গাঢ় রঙের হওয়া উচিত। কুশনকভার কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে, বিছানার চাদর বা পর্দার কাপড়ে কোন ধরনের প্রিন্ট রয়েছে। প্রিন্টের সঙ্গে মিল রেখে কিনলে ভালো দেখাবে।
কুশনের আকার
বসার ঘরের সোফা কিংবা ডিভানে ১৪ বাই ১৪ ইঞ্চির কুশন রাখাই ভালো। তবে আজকাল কিছু কিছু সোফায় ফোমের পরিবর্তে ৩২ বাই ৩২ ইঞ্চির কুশনও রাখা হয়। আবার এই বড় কুশনটার ওপরে রাখা যেতে পারে ছোট কোনো কুশন। সোফার পাশে মেঝেতে পাতা শতরঞ্জিতে রাখা যেতে পারে বেশ কয়েকটা কুশন। প্রথমে ৩২ বাই ৩২, এর ওপর ২২ বাই ২২ ও ১৮ বাই ১৮ ইঞ্চির কুশন একটার ওপরে একটা সাজিয়ে রাখলে ভালো দেখাবে।
শোবার ঘরের বিছানার পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা যেতে পারে কয়েকটা কুশন। শিশুর ঘরে রাখা যেতে পারে কার্টুন আকারের কুশন। হয়তো বিছানার পাশে পেনসিল আকারের কোনো কুশন রয়েছে, তাতে লেখা আছে কোনো ছড়া, এতে ভালো দেখাবে তাদের ঘরটি। ঝুলবারান্দার ছোট বেতের মোড়ায় রাখা যেতে পারে গোলাকার কোনো কুশন।
কোথায় পাবেন
আড়ং, যাত্রা, নিপুণ, পিরাণ, বাংলার মেলা, নগরদোলা, কে-ক্র্যাফট ও নিউমার্কেটে পাবেন বাহারি আকার আর ডিজাইনের কুশন ও কুশনের কভার। এগুলোর বেশির ভাগেই ক্লক, বাটিক ও সুতার কাজ করা। আবার কোনোটিতে জরির সুতা কিংবা চুমকির কাজও করা থাকে। সিল্ক, দুপিয়ান, সুতি আর খাদি কাপড়ের এ কুশন কভারের দামের মধ্যেও আছে ভিন্নতা।
 

No comments:

Post a Comment