Pages

Thursday, March 8, 2012

যত্নে থাকুক তোশক কুশন

যত্নে থাকুক তোশক কুশন

সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর বাড়ি ফিরে অনেকেই আয়েশ করে গা এলিয়ে দেন সোফা কিংবা বিছানায়। আর এই আরামের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে বিছানাজুড়ে থাকা আরামদায়ক কোনো তোশক বা সোফার ফোম-কুশনগুলো। তবে আপনার ষোলোআনা আরাম নিশ্চিত করতে গিয়ে তোশক, ফোম আর কুশনের আয়ু প্রতিদিনই একটু একটু করে কমতে থাকে। ফলে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই অনেকের আরাম হারাম হয়। ফি বছর যারা এগুলো কেনার বিলাসিতা দেখান, তাদের পকেটের পয়সাও খরচ হয় বিস্তর। অথচ ঘরের আর দশটা জিনিসের মতো এসব ফোম, তোশক আর কুশনও সামান্য একটু যত্নে ভালো থাকতে পারে দিনের পর দিন। তবে, এজন্য তোশক আর কুশনের যত্নের বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি মানার অভ্যাসটাও গড়ে তুলতে হবে।

ফোম আর তোশকের যত্ন :প্রায়শই দেখা যায় যে, সোফার ফোম বা গদি একটু পুরোনো হলেই তা আর আগের মতো মজবুত থাকে না বা খানিকটা দেবে যায়। একইভাবে তোশকের কোমলতাও সময়ের সাথে সাথে কমতে থাকে। এ ছাড়া কিছুদিনের ব্যবহারে ফোম ও তোশকের আরও যেসব সমস্যা হতে পারে, সেগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে—

 সোফার ফোম এবং তোশক কমপক্ষে তিন মাস পর পর উল্টে দিন। এতে ফোম এবং তোশকের একপাশ বেশি ব্যবহারে মলিন হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।

 শীতের আগেই যখন একটানা অনেকক্ষণ রোদ পাওয়া যায়, তখন সোফার ফোম থেকে কভার খুলে তা রোদে শুকাতে দিন। একইভাবে বিছানার তোশকও রোদে দিন। এ ছাড়া রোদে দেওয়ার সময় ফোম ও তোশক খানিকটা ঝেড়ে দিলে এগুলোর উপর জমে থাকা আলগা ধুলো সহজেই দূর হয়ে যাবে। তবে, ধুলোতে যাদের অ্যালার্জি আছে, তারা অবশ্যই তোশক বা ফোম ঝাড়ার সময় নাকে রুমাল জাতীয় কিছু পেঁচিয়ে নেবেন।

 তোশকের জমে থাকা ধুলো অনেক সময় অ্যালার্জির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ কারণে যাদের বাসায় ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আছে, তারা কদিন পর পর ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের সাহায্যে তোশকে জমে থাকা ধুলো পরিষ্কার করে নিতে পারেন।

 ফোম বা তোশকের উপর পানি বা তরল জাতীয় কিছু পড়লে তা চেপে রাখবেন না। বরং যত দ্রুত সম্ভব গদি থেকে কভার ছাড়িয়ে ফ্যানের বাতাস অথবা রোদে শুকিয়ে নিন। অন্যথায় তোশক বা ফোমের মাঝখানে দাগ বসে যেতে পারে।

 যাদের বাসায় 'ফাইভ সিটেড সোফা' আছে, তারা এমনভাবে সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট করুন, যাতে কোনো একটি নির্দিষ্ট সোফায় দিনের পর দিন বেশি বসা না হয়। এতে করে অন্য সব ফোমের তুলনায় একটি ফোম বেশি দেবে যেতে পারে। একইভাবে তোশকের একদিকে দিনের পর দিন না শুয়ে শীত কিংবা গরমে স্থান পাল্টে দু'পাশেই শোয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। আর এটি সম্ভব না হলে তোশকের দিক পরিবর্তন করেও সবদিকের সমান ব্যবহার নিশ্চিত করা যেতে পারে।

 সম্ভব হলে প্রতি ৫ থেকে ৮ বছরের মধ্যে বিছানার তোশক কিংবা সোফার ফোম পাল্টে ফেলুন।

কুশনের যত্ন :আজকাল সোফা কিংবা ডিভানের সাথে কুশনের ব্যবহার খুবই সাধারণ একটি বিষয়। এ ছাড়া অনেকে সৌন্দর্যের কথা চিন্তা করে বিছানার ওপরও কয়েকটি কুশন সাজিয়ে রাখতে ভালোবাসেন। এসব কুশনের স্থায়িত্ব বাড়াতে এবং কুশন যত্নে রাখার জন্য যা যা করা যেতে পারে তা হলো—

 ফোম বা তোশকের মতো কুশনও ছমাস অন্তর অন্তর কভার খুলে রোদে শুকাতে দিন।

 কুশনে পানি পড়লে বা ভিজে গেলে কভার ছাড়িয়ে ভেজা ভাব দূর করুন।

 অনেকগুলো কুশন একসাথে জড়ো করে রাখবেন না। পিঠের নিচে একসাথে একাধিক কুশন নিয়েও বসবেন না।

 সম্ভব হলে দুই সেট কুশন ছয় মাস পর পর পাল্টে ব্যবহার করুন।

 বালিশ কিংবা কোলবালিশের বিকল্প হিসেবে কুশন ব্যবহার করবেন না। এতে কুশনের শেইপ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

 কুশন কভার সিল্কের হলে বা কভারের উপর কাচ, বিড ইত্যাদির কাজ থাকলে সেগুলো ড্রাইওয়াশ করাই উত্তম।

 

Source: http://www.ittefaq.com.bd 

 

No comments:

Post a Comment