মেঝের সাজে কার্পেট
লাইফস্টাইল ডেস্ক, প্রাইমনিউজ.কম.বিডি |
ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে মেঝে কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ছোট ঘর কিংবা বড়
ঘর সব ধরনের ঘরেই মেঝের সাজে পরিপূর্ণতা আনতে নানা উপকরণ ব্যবহার করতে
পারেন।
মেঝের সাজের সবচেয়ে আগে যে বিষয়টি আসে তা
হলো কার্পেট। রাজা-বাদশাদের আমলে কেবল রাজা, বাদশা, জমিদার ও সওদাগরদের
ঘরেই এর ব্যবহার ছিল। তখন কার্পেট ছিল সাধারণ মানুষের ব্যবহারের নাগালের
বাইরে। তবে এখন কার্পেট অহরহ ব্যবহার হচ্ছে। তবে রুমের আকার আকৃতি ও
গুরুত্ব অনুসারে কার্পেট ব্যবহার করা উচিত।
ছোট ড্রইংরুম :
ড্রইংরুমে সোফাসেট, ডিভান, বুকসেলফ ও শোকেস দিয়ে সাজানোর সময় খেয়াল
রাখতে হবে কার্পেটটি যেন পুরো ঘরজুড়ে বিছিয়ে নেওয়া যায়। তবেই ঘরটি বড়
দেখাবে। দরজার কাছের জায়গাটি ফাঁকা রেখে পাপোশ বিছিয়ে নিন, তাতে কার্পেট
সহজে ময়লা হবে না। ছোট ড্রইংরুমের কার্পেট একরঙা বা ছোট ছোট নকশার হলে
সুন্দর ও ভালো দেখায়। আর রঙটা হালকা হলে ঘরের ডেকোরেশন ফুটে ওঠে।
বড় ড্রইংরুম :
বড় ঘরে যেকোনো রং যেকোনো ডিজাইনের কার্পেট মানিয়ে যায়। এর আকার হতে
পারে ডিম্বাকৃতি, গোলাকার, চারকোনা। ইচ্ছে করলে পুরো ঘরজুড়ে বা শুধু
ঘরের মাঝখানে মাঝারি আকৃতির কার্পেট বিছাতে পারবেন। ডিভানগুলো ইদানীং ছোট
হওয়ায় অনেকে ঘরের এক কোণে সুন্দর নকশা করা আলাদা ছোট কার্পেটে
হারমোনিয়াম, তবলা ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র সেট করে সাজিয়ে রাখতে পারেন। এতে
রেওয়াজের সময় বা ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে টানা-হেঁচড়া করতে হয়
না।
খেয়াল রাখতে হবে জমকালোভাবে সাজানো
ড্রইংরুমের কার্পেট কিছুতেই হালকা রং হলে চলে না, হতে হবে উজ্জ্বল রং; তবেই
ফুটে উঠবে শৈল্পিকতা ও আভিজাত্য।
শোবার ঘর :
এখানে হালকা বা গাঢ় সবুজ যেকোনোটি মানায়। নয়তো হালকা নীল বা যেকোনো
হালকা রং মানায়। সবুজ ও নীল চোখের জন্য উপকারী তাই আপনি এ রঙটির দিকেই
গুরুত্ব বেশি দিতে পারেন। সারা ঘরে না হলেও চলে শুধু খাটের পাশে ছোট বা
ডিম্বাকৃতি বা গোল কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন।
পড়ার ঘর
: রিডিং রুমের কার্পেট যেকোনো রঙেই মানিয়ে যায়, তবে এখানে নকশাটা যদি
আকর্ষণীয় হয় তবে একটু ভালো লাগে। আর এই আকর্ষণীয় কার্পেট বলতে মাছ আকৃতি,
চারকোনা, পাঁচকোনা, ডিম্বাকৃতি, গোলাকৃতি, গাড়ির আকৃতি, ফুল আকৃতি ও
বিভিন্ন নকশার কথা বোঝায়।
Source: http://primenews.com.bd
No comments:
Post a Comment