Pages

Monday, February 27, 2012

খরচের লাগাম টেনে ধরুন

খরচের লাগাম টেনে ধরুন

আগের দিনের মতো রোজ বাজার করার রেওয়াজটা এখন উঠেই গেছে। সপ্তাহে এক বা দু’বার বাজারটা সেরে ফেলি আমরা। প্রতিদিন যাওয়া-আসার পথে নিয়ে নিই টুকটাক কিছু। বাজার খরচ কীভাবে কমাবেন, চলুন জেনে নিই এর কিছু টিপস।
--মাস বাজারের অভ্যাস করুন। অনেক বাড়িতে এ কাজটি বেশ যত্নের সঙ্গে করা হয়। আবার যখন যেটা প্রয়োজন সেটা আনিয়ে নিন। আসলে মাস বাজারে খরচ কমে। আপনার সংসারে সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী চাল, ডাল, লবণ, তেল, চা পাতা, দুধ, চিনি, মসলাপাতি, পোলাও চাল, সুজি, সেমাই, নুডুলস দিয়াশলাই, সাবান, মোমবাতিসহ অন্যান্য সামগ্রীর তালিকা করে রাখুন। হঠাত্ এটা-সেটা কিনে বাড়তি খরচের ধাক্কায় পড়তে হবে না।
সুপার শপগুলো শহুরে মানুষকে আকৃষ্ট করছে নিরিবিলি বাজার করার সুবিধার কারণে। তবে সম্ভব হলে মাসের বাজার কোনো পাইকারি বা মুদি দোকান থেকে নিয়ে নিন। কারণ সুপার স্টোরে ঢুকলে তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে কখনোই পণ্য কিনতে পারবেন না। বাড়তি কিছু জিনিস আপনার নজর কাড়বেই, আর তাতে খরচ হয়ে যাবে বাড়তি কিছু টাকা।
--মাছ বা মাংস মাসে কতটা লাগে হিসাব করে নিন। ছোট পরিবার হলে মাসে দু’বার মাছ-মাংস কিনুন। বড় পরিবারে অবশ্য সপ্তাহে একবার মাছ-মাংস আনতেই হয়। তবে তার আগে ক’দিন ক’বেলা মাছ বা মাংস খাবেন তার তালিকা করে নিন।
--বাড়িতে কোনো মাসে কাউকে দাওয়াত দিতে হলে তার হিসাবটা আলাদা করে রাখুন।
--অনেকেই ফ্রিজে তরি-তরকারি থাকার পরও আবার কেনেন। এতে অপচয় বাড়ে। কাঁচাবাজার করার আগে ফ্রিজে কী আছে দেখে নিন। সবজি কম থাকলেও যদি দেখেন দু’এক পদ রান্না করা যায়, তাহলে সেগুলো শেষ করে তারপর বাজার করুন।
--নাস্তা জাতীয় খাবারের জন্য যখন তখন দোকানে না পাঠিয়ে বাড়িতে করে ফেলুন। চপ, কাটলেট, সিঙ্গারা, পুরী তৈরি করে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। অতিথি এলে ঝটপট ভেজে দিন।
--মাসের শুরুতেই বাজেট ঠিক করে ফেলুন এবং একান্ত কোনো বিপদ না আসা পর্যন্ত সেটাতে স্থির থাকার চেষ্টা করুন।
--সপ্তাহের শুরুতে সাপ্তাহিক খাবারের মেন্যু ঠিক করে নিন। এমনভাবে মেন্যু করুন যেন খাবারে একঘেয়েমি না আসে। ছেলেমেয়ের স্কুলের টিফিন, নিজের এবং সাহেবের অফিস টিফিন সবকিছু হিসেবের মধ্যে নিয়ে আসুন। দেখবেন খরচই শুধু নয়, দুর্ভাবনাও কমবে।
--চালিয়ে নেয়ার ক্ষমতা মেয়েদের চেয়ে কেইবা বেশি জানে? অপচয় কমাতে তাই বাজারের হিসাবের পাশাপাশি তেল কম লাগে এমন বাসনপত্র ব্যবহার করুন। দু’তিনটা ননস্টিক বাসন হলেই নানারকম রান্নার কাজ চলে যায়।
--খরচ কমাতে শুধু নিজে নয়, পরিবারের সবাইকে উদ্যোগী করে তুলুন। ঘরে অপ্রয়োজনে বাতি জ্বালানো, গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখা, মুখ ধুতে গিয়ে কলটা খুলে রেখে আসার মতো বদঅভ্যাস ছোটবেলা থেকেই যাতে গড়ে না ওঠে সে বিষয়ে সচেতন থাকুন। আর এভাবে শুধু আপনার পরিবার নয়, দেশেরও কিছু সাশ্রয় হবে।

 

No comments:

Post a Comment