Pages

Tuesday, March 27, 2012

বাহারি ল্যাম্পশেড

বাহারি ল্যাম্পশেড

আলো-অন্ধকারে যাই মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়_ কোন এক বোধ কাজ করে।
জীবনানন্দ দাশ কবিতায় আলো-অন্ধকারের মিশ্র অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। আলো-ছায়ার মিশ্রণে এক অপূর্ব পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যা মনকে বিশেষায়িত করে। আগেকার জমিদাররা বাতির ওপরে নানা রকম কাচের ঢাকনা ব্যবহার করতেন। এতে তাদের আভিজাত্য ভাবটি ফুটে উঠত। বর্তমানে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আলোর ঢাকনা বা ল্যাম্পশেড ব্যবহার করা হয়। এতে যেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়, তেমনি আভিজাত্যের দিকটিও থাকে। বিদ্যুৎ বাতির ওপর বাহারি ধরনের ঢাকনা ব্যবহার করা হয়। আইডিয়া ক্রাফটসের পরিচালক শ্যামল চন্দ্র শাহ বলেন, আলো ও ছায়ার মিলন পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে। দিনের বেলায় কৃত্রিম আলোর প্রয়োজন তেমন হয় না। রাতে আলোর প্রয়োজন অনেক। আর এই আলোকে নান্দনিক করতে ল্যাম্পশেডের জুড়ি মেলা ভার। চাইলে ল্যাম্পশেড সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে ঘরের বৈচিত্র্য আনা সম্ভব। নানা ধরনের ল্যাম্পশেড হয়ে থাকে_
স্ট্যান্ড ল্যাম্পশেড, ঝুলন্ত ল্যাম্পশেড বা টেবিল ল্যাম্পশেড। স্ট্যান্ড ল্যাম্পশেডগুলো আকারে একটু বড় হয়। এতে জায়গার প্রয়োজন হয় বেশি। ঘরের জায়গা কম থাকলে ঝুলন্ত ল্যাম্পশেড বা টেবিল ল্যাম্পশেড ব্যবহার করা যায়। শোবার ঘরে টেবিল ল্যাম্পশেড রাখতে পারেন। ড্রইং রুমে ঝুলন্ত বা স্ট্যান্ড ল্যাম্পশেড মানানসই। শ্যামল চন্দ্র শাহ বলেন, গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বাতির ঢাকনা তৈরি করে দেওয়া হয়। নানা রকম বর্ণিল ঢাকনা পাওয়া যায় আইডিয়া ক্রাফটস্, আড়ং, যাত্রা, নন্দন কুটির প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে। কাপড় কেটে তাতে হাতের কাজ বা জোড়া দিয়ে ঢাকনা তৈরি করা হয়। কাপড়ের ঢাকনার মধ্যে নানা নকশা পাওয়া যায়। দাম পড়বে ১ হাজার ২৫০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। বিভিন্ন রকমের সুতা পেঁচিয়ে তৈরি করা হয় বাতির ঢাকনা।
সুতার তৈরি বাতির ঢাকনা বা ল্যাম্পশেডগুলো দেখতে বেশ নান্দনিক। সুতার ল্যাম্পশেডের চাহিদা বেশ। দাম পড়বে ৫৫০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। কাগজ দিয়ে তৈরি ঢাকনাও পাওয়া যায়। দাম ৩৫০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। বাঁশ, কাঠ, বেতের ল্যাম্পশেডের দাম পড়বে ৪৫০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া ফ্লোর ল্যাম্পশেড, নারকেলের খোসার তৈরি ল্যাম্পশেড, মাটির ল্যাম্পশেডও পাওয়া যায়। কারুকার্যময় বর্ণিল ল্যাম্পশেডগুলো ঘরের সৌন্দর্যে এক আলাদা মাত্রা যোগ করে। সেভেন কাইটস্ প্রতিষ্ঠানের ইন্টেরিয়র ডিজাইনার সুব্রত বিশ্বাস বলেন, ল্যাম্পশেড ব্যবহার ক্ষেত্রে ঘরের আকার ও ঘরের রঙকে অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে। বসার ঘরের ক্ষেত্রে হালকা রঙের ল্যাম্পশেড বেছে নিন। শোবার ঘরে গাঢ় নীল, সবুজ, লাল, হলুদ, ধূসর, নীলাভ ধূসর, ঘন সবুজ ধরনের ল্যাম্পশেড বেছে নিতে পারেন। বাচ্চাদের ঘরে ঝুলন্ত ল্যাম্পশেড ব্যবহার করুন। ল্যাম্পশেড যাতে বাচ্চাদের নাগালের বাইরে থাকে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। ল্যাম্পশেডের রঙ নির্বাচনে গোলাপি, নীল, বেগুনি, কমলা উজ্জ্বল রঙ ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশি উপকরণ দিয়ে তৈরি ল্যাম্পশেডের চাহিদা প্রচুর। বাতির ওপর বাহারি ঢাকনার ব্যবহারে ঘরের সৌন্দর্য বেড়ে যায় বহুগুণ। কৃত্রিম উপকরণ আলোকে নতুন মাত্রা দেয়। খেয়াল রাখবেন, ঘরের সঙ্গে ল্যাম্পশেডটি যাতে মানানসই হয়।
লেখা : মাসুদ রানা  Source: http://www.samakal.com.bd 

1 comment:

  1. আপনার বাসাকে আরো সুন্দর করে সাজাতে আমাদের বেডশীট ব্যবহার করতে পারেন।
    www.homefashionbd.com

    ReplyDelete