Pages

Monday, February 27, 2012

খরচের লাগাম টেনে ধরুন

খরচের লাগাম টেনে ধরুন

আগের দিনের মতো রোজ বাজার করার রেওয়াজটা এখন উঠেই গেছে। সপ্তাহে এক বা দু’বার বাজারটা সেরে ফেলি আমরা। প্রতিদিন যাওয়া-আসার পথে নিয়ে নিই টুকটাক কিছু। বাজার খরচ কীভাবে কমাবেন, চলুন জেনে নিই এর কিছু টিপস।
--মাস বাজারের অভ্যাস করুন। অনেক বাড়িতে এ কাজটি বেশ যত্নের সঙ্গে করা হয়। আবার যখন যেটা প্রয়োজন সেটা আনিয়ে নিন। আসলে মাস বাজারে খরচ কমে। আপনার সংসারে সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী চাল, ডাল, লবণ, তেল, চা পাতা, দুধ, চিনি, মসলাপাতি, পোলাও চাল, সুজি, সেমাই, নুডুলস দিয়াশলাই, সাবান, মোমবাতিসহ অন্যান্য সামগ্রীর তালিকা করে রাখুন। হঠাত্ এটা-সেটা কিনে বাড়তি খরচের ধাক্কায় পড়তে হবে না।
সুপার শপগুলো শহুরে মানুষকে আকৃষ্ট করছে নিরিবিলি বাজার করার সুবিধার কারণে। তবে সম্ভব হলে মাসের বাজার কোনো পাইকারি বা মুদি দোকান থেকে নিয়ে নিন। কারণ সুপার স্টোরে ঢুকলে তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে কখনোই পণ্য কিনতে পারবেন না। বাড়তি কিছু জিনিস আপনার নজর কাড়বেই, আর তাতে খরচ হয়ে যাবে বাড়তি কিছু টাকা।
--মাছ বা মাংস মাসে কতটা লাগে হিসাব করে নিন। ছোট পরিবার হলে মাসে দু’বার মাছ-মাংস কিনুন। বড় পরিবারে অবশ্য সপ্তাহে একবার মাছ-মাংস আনতেই হয়। তবে তার আগে ক’দিন ক’বেলা মাছ বা মাংস খাবেন তার তালিকা করে নিন।
--বাড়িতে কোনো মাসে কাউকে দাওয়াত দিতে হলে তার হিসাবটা আলাদা করে রাখুন।
--অনেকেই ফ্রিজে তরি-তরকারি থাকার পরও আবার কেনেন। এতে অপচয় বাড়ে। কাঁচাবাজার করার আগে ফ্রিজে কী আছে দেখে নিন। সবজি কম থাকলেও যদি দেখেন দু’এক পদ রান্না করা যায়, তাহলে সেগুলো শেষ করে তারপর বাজার করুন।
--নাস্তা জাতীয় খাবারের জন্য যখন তখন দোকানে না পাঠিয়ে বাড়িতে করে ফেলুন। চপ, কাটলেট, সিঙ্গারা, পুরী তৈরি করে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। অতিথি এলে ঝটপট ভেজে দিন।
--মাসের শুরুতেই বাজেট ঠিক করে ফেলুন এবং একান্ত কোনো বিপদ না আসা পর্যন্ত সেটাতে স্থির থাকার চেষ্টা করুন।
--সপ্তাহের শুরুতে সাপ্তাহিক খাবারের মেন্যু ঠিক করে নিন। এমনভাবে মেন্যু করুন যেন খাবারে একঘেয়েমি না আসে। ছেলেমেয়ের স্কুলের টিফিন, নিজের এবং সাহেবের অফিস টিফিন সবকিছু হিসেবের মধ্যে নিয়ে আসুন। দেখবেন খরচই শুধু নয়, দুর্ভাবনাও কমবে।
--চালিয়ে নেয়ার ক্ষমতা মেয়েদের চেয়ে কেইবা বেশি জানে? অপচয় কমাতে তাই বাজারের হিসাবের পাশাপাশি তেল কম লাগে এমন বাসনপত্র ব্যবহার করুন। দু’তিনটা ননস্টিক বাসন হলেই নানারকম রান্নার কাজ চলে যায়।
--খরচ কমাতে শুধু নিজে নয়, পরিবারের সবাইকে উদ্যোগী করে তুলুন। ঘরে অপ্রয়োজনে বাতি জ্বালানো, গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখা, মুখ ধুতে গিয়ে কলটা খুলে রেখে আসার মতো বদঅভ্যাস ছোটবেলা থেকেই যাতে গড়ে না ওঠে সে বিষয়ে সচেতন থাকুন। আর এভাবে শুধু আপনার পরিবার নয়, দেশেরও কিছু সাশ্রয় হবে।

 

একটুখানি বারান্দা

একটুখানি বারান্দা



খাবার ঘরকে বলা হয় পরিবারের সদস্যদের মিলনস্থল। যে যেখানেই থাকুক না কেন সারাদিন, দিনে একবারের জন্য হলেও খাবার টেবিলে পরিবারের অন্যদের সাথে দেখা হয়ে যায়। কিছু কিছু পরিবারে একসাথে বিকেলের বা সন্ধ্যার চা-নাশতা খাবার ব্যবস্থা রাখা হয়। খাবার ঘরে, বসার ঘরে বা বাড়ির সামনে লনে চেয়ার-টেবিল পেতে এই পারিবারিক সময়টুকু সবাই উপভোগ করে।
তবে সব বাড়ির সামনে লন বা আঙ্গিনা থাকে না। বাসায় বারান্দা থাকলে সেখানেও পারিবারিক সময় বা অবসর সময় কাটানোর ব্যবস্থা করতে পারেন। বারান্দার সামনে যদি কোনো সুন্দর দৃশ্য থাকে তাহলে কাচ লাগানোর ব্যবস্থা করতে পারেন, নয়তো সাধারণ গ্রিলই লাগান। এতে বারান্দার নিরাপত্তার ব্যাপারটি নিশ্চিত হবে। বারান্দায় টবে ফুল পাতাবাহার গাছ লাগাতে পারেন। লতানো কোনো গাছ গ্রিলে তুলে দিন। এতে বাইরের পরিবেশ থেকে কিছুটা আড়াল তৈরি হবে, আবার দেখতেও আকর্ষণীয় হবে। পাখি বা মাছ পোষার অভ্যাস থাকলে তাদের জায়গা দিতে পারেন বারান্দায়। অ্যাকুরিয়ামে রাখতে পারেন রঙ-বেরঙের মাছ। গাছ, মাছ, পাখি মিলিয়ে বারান্দার পরিবেশ হয়ে উঠবে অত্যন্ত সুন্দর শান্তিপূর্ণ।
বারান্দায় চেয়ার-টেবিল পাততে চাইলে আসবাবের উপকরণ একটু সতর্কতার সাথে নির্বাচন করুন। কারণ বারান্দা যেহেতু মোটামুটি খোলা জায়গা তাই রোদ-বৃষ্টি-ধুলায় আসবাব সহজেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এজন্য রট আয়রন বা প্লাস্টিকের আসবাবপত্র বারান্দার জন্য উপযুক্ত। কাঠ বা বেতের আসবাব দেখতে সুন্দর হলেও এগুলো বারান্দায় রাখলে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা বেশি। টি টেবিল চেয়ার আকারে ছোট হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। নয়তো চলাচলে অসুবিধা হবে এবং বেশি বসার জায়গা করা যাবে না। আসবারের রং রাখুন প্রাকৃতিক রঙে। যেমন - সবুজ, বাদামি, বিস্কুট রং ইত্যাদি কালো রঙের আসবাবও রাখতে পারেন। এতে বারান্দার পরিবেশে আসবে বৈপরীত্যের ছোঁয়া।
আপনার ঘরের সাথে লাগোয়া ছোট, ঝুলন বারান্দা বা ব্যালকনিটি হতে পারে আপনার অবসর কাটানোর জায়গা। এখানে টবে রাখতে পারেন গাছ, প্রিয় পাখি অথবা রঙিন মাছের অ্যাকুরিয়াম। এদের পরিচর্যা করতেই কেটে যাবে আপনার অবসর। ব্যালকনিতে রাখতে পারেন দোলনা। দোল খেতে খেতে বই পড়ে বা চা খেয়ে কাটিয়ে দিতে পারেন আপনার অবসর যাপনের সময়গুলো। শিকাতে গাছ ঝুলিয়ে অথবা লতানো গাছ গ্রিলে তুলে দিয়ে মনোরম পরিবেশ তৈরি করতে পারেন আপনার এই ছোট্ট জগতের। আপনার আরাম মানসিক শান্তির কথা মাথায় রেখেই সাজান আপনার ব্যালকনি।
নাগরিক জীবনের টানাপোড়েনে বাড়ির বারান্দা বা ব্যালকনি আমরা শুধু কাপড় শুকানোর কাজে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এই এক চিলতে জায়গার সৃজনশীল ব্যবহার আপনাকে দিতে পারে অনেকখানি আনন্দ।

- Nusrat jahan champ
http://www.priyo.com

Automatic Water Pump

Saturday, February 25, 2012

ইন্টেরিয়র: মানানসই সোফা ও ডিভান

ইন্টেরিয়রমানানসই সোফা ও ডিভান বসার ঘরের গণ্ডি পেরিয়ে শোবার ঘর, পড়ার ঘরেও বসছে সোফা। সোফার সঙ্গে মিলিয়ে ডিভান ব্যবহার করে আনুন নতুন মাত্রা। কোথায় কিভাবে ব্যবহার করবেন সোফা ও ডিভান জানাচ্ছেন অ্যাস্থেটিক ইন্টেরিয়রের ইন্টেরিয়র ডিজাইনার সাবিহা আক্তার কুমু   * বসার ঘরে সোফা নির্বাচনের আগে ঘরের আকার ও থিম মাথায় রাখুন। ঘর বড় হলে মডার্ন থিমে ঘর সাজাতে পারেন। এক্ষেত্রে কাঠের ভারী নকশা বা গদি আঁটা সোফা রাখুন। চাইলে লেদার, কাপড় ও ফোমের একটু ভারী সোফা রাখতে পারেন।
* ঘর ছোট হলে হালকা ডিজাইনের কাঠ, বেত, বাঁশ বা রট আয়রনের সোফা রাখুন। মডার্ন সাজ চাইলে কাঠ বা রট আয়রনের সোফা আর ট্র্যাডিশনাল সাজে বেত বা বাঁশের সোফা ভালো মানায়।
* বসার ঘরটি বড় হলে এক পাশে ডিভান রাখুন। ডিভানও সোফার উচ্চতার হবে সমান। সোফার সঙ্গে মিলিয়ে ডিভান নিন। সোফা কাঠের হলে কাঠের ডিভান, বেতের সোফার সঙ্গে বেতের এবং রট আয়রনের সঙ্গে রট আয়রন।
* ফ্যামিলি লিভিংয়ে লো-হাইট ডিভান ভালো মানায়। সঙ্গে লো-হাইট সোফা বা ফ্লোরিং করুন।
হঘরে অব্যবহৃত কর্নার থাকলে সেখানেও ডিভান রাখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কর্নার স্পটলাইট বা হ্যাংগিং লাইট দিয়ে আলোকিত রাখুন।
* গেস্টরুমে খাটের বদলে ডিভান ব্যবহার করতে পারেন। গেস্টরুম না থাকলে বসার ঘরের ডিভানও গেস্ট বেড হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
* শিশুর ঘরেও ছোট আকৃতির দু-একটি সোফা রাখতে পারেন। আর শিশুর পড়ার ঘরে ছোট লো-হাইট ডিভান রাখুন।
* শোবার ঘরে খাটের সঙ্গে মিলিয়ে সোফা বা ডিভান বেছে নিন। খাটের উপাদানের সঙ্গে মিলিয়ে সোফা বা ডিভানের উপাদান নির্বাচন করুন। শোবার ঘরে খাটের এক পাশে দুটি লো-হাইট সোফা রাখুন। এ ঘরে ডিভানও হবে ছোট।
* ফ্ল্যাটের বড় লন বা বারান্দা থাকলে গাছ দিয়ে বাগান করে সেখানে ছোট আকৃতির কয়েকটি সোফা দিন। জায়গা থাকলে সোফার সঙ্গে ছোট ডিভানও রাখুন। জায়গা ছোট হলে শুধু সোফা বা একটি ডিভান রাখুন।
* করিডরে যদি জায়গা থাকে, তবে কম উচ্চতার ডিভান ব্যবহার করুন।
কিভাবে সাজাবেন
* ঘরের অন্যান্য ফার্নিচার ও দেয়ালের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সোফা ও ডিভানের রং নির্বাচন করুন। কভার ও কুশন হবে ঘরের পর্দা, ফার্নিচার ও কার্পেটের নকশার সঙ্গে মিলিয়ে।
* বড় ঘরে মডার্ন সাজের সঙ্গে সোফা বা ডিভানে একটু হালকা রং যেমন- অফহোয়াইট, গোল্ডেন, ব্রাউন, কালো, মেরুন বা চকোলেট বেছে নিন। আবার ট্র্যাডিশনাল লুকে বেত বা বাঁশের ফার্নিচারে একটু গাঢ় রং যেমন- লাল, সুবজ, নীল ব্যবহার করলে ভালো দেখাবে।
* সোফা ও ডিভানের কভার ও কুশন কন্ট্রাস্ট হবে। অর্থাৎ কুশন খুব রঙিন হলে কভার একরঙা হবে আবার কভার রঙিন হলে কুশন হবে একরঙা।
* আধুনিক সোফা ও ডিভানের কুশন ও কভার হবে আধুনিক আর বাঁশ ও বেতের সোফা, ডিভানের কভার ও কুশন ব্লক, বাটিক বা নকশিকাঁথা দিন।
গ্রন্থনা : মারজান ইমু

Source: http://www.kalerkantho.com

রঙের ভুবন

রঙের ভুবন

রঙ জীবনের স্বপ্ন দেখায়। জীবন যেখানে থেমে যায় রঙ সেখান থেকেই নতুন করে পথ চলা শুরু করে। তাই ঘরের ভেতর স্বপ্ন অাঁকতে হলে প্রয়োজন রঙের যথার্থ ব্যবহার। আপনার ঘরের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে হলে রঙের সাহায্য নিতে হবে কৌশলে। আমরা অনেক সময় জীবনকে কল্পনা করি রঙের বাইরে। সেই কল্পনা কখনো বাস্তব রূপ পায় না রঙ সাহায্যকারী না হলে। ঘরের ভেতর প্রতিদিন যে জীবন সেই জীবনে রঙ তাই স্পর্শের বাইর কিছু নয়। যেখানে যাবেন যা দেখবেন সর্বত্রই আছে রঙের বাহার। পৃথিবীতে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে রঙ নেই। মনে রাখতে হবে যেখানে রঙের অভাব সেখানেও সৃষ্টি হয় একটি রঙ যাকে আমরা কালো বলি। ঘর সাজাতেও রঙের ব্যবহার বিশ্বজুড়ে। তবে ঋতু বৈচিত্র্যের এ দেশে আমরা গ্রীষ্ম প্রধান বলে বেশির ভাগ সময় ঠাণ্ডা রং পছন্দ করি। জাতিগতভাবে আমাদের ভিতরে রঙের প্রভাব সবসময় কাজ করে না। তাই ঘরের ভেতর খুব বেশি রঙের ব্যবহার আমাদের ঐতিহ্যে নেই। তবে এখন আমরা যত বেশি ইন্টেরিয়র সচেতন হচ্ছি তত বেশি রঙের ব্যবহার বাড়ছে। ঘর সাজাতে হালকা রঙের ব্যবহার স্বীকৃত হলেও উজ্জ্বল রঙ যে ব্যবহার করা যাবে না, তা কিন্তু নয়। টিভি নাটক কিংবা সিরিয়াল দেখে আমাদের কল্পনা শক্তিতে ঘরের ভেতর এখন লাল, কমলা, নীল, সবুজ ইত্যাদি নানা উজ্জ্বল রঙ স্থান করে নিয়েছে। শুধু দেয়ালের রঙে নয় বরং নতুন নতুন ফ্যাব্রিক বাজারে আসছে চোখধাঁধানো রঙের বাহার নিয়ে। রঙের নানাবিধ ব্যবহার নিয়ে লিখেছেন তামান্না শারমীন
রঙের ধরন
ঘরের ভেতর রঙ ব্যবহারের আগে রঙের উত্তাপ সম্পর্কে জানা উচিত। ভাবতে পারেন রঙের আবার উত্তাপ হয় কিভাবে! রঙেরও ভাষা আছে। কোনো কোনো রঙ দেখে মনে হয় এ যেন তাপদাহ, কখনো তা ঠাণ্ডা শীতল স্পর্শ। আমাদের চারিদিকে যেই রঙ তার কোনটা গরম কোনটা শীতল। যেমন লাল, কমলা, হলুদ রঙ গরম অনুভূতি দেয় আর সবুজ ও নীল রঙ শীতল অনুভূতি দেয়। নীল ও সবুজ রঙ দেখলেই খোলা নীল আকাশ আর খোলা মাঠের সবুজকে মনে পড়ে। তাই একটা ছায়া শীতল অনুভূতি আমাদের স্পর্শ করে যায়। অন্য দিকে লাল, কমলা, হলুদ ইত্যাদি রঙ সূর্য কিংবা আগুনের স্পর্শ দেয়। ঘরের ভেতর যদি শান্তিময় স্পর্শ দিতে চান তবে এই রঙের বিন্যাস নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে খানিকটা। এক্ষেত্রে হলুদের সঙ্গে যদি সবুজের কম্বিনেশন করেন তবে সবুজ ধানের শীষের পাশে হলুদ সর্ষে ফুল ফুটে উঠতে পারে। আবার ড্রয়িং রুমে চিরবিদ্রোহের রূপ দিতে লালের পাশে হলুদ হয়ে উঠতে পারে শাহাবুদ্দিনের কোনো চিত্রকর্ম। এর পাশাপাশি যদি ব্যবহার করেন ল্যামন ইয়েলো তবে আপনার ঘরে বিদ্রোহের পাশাপাশি শান্তির বসবাস নিশ্চিত হবে।
রঙের মেজাজ
ঘরে ঢুকেই যদি গিনি্নর মেজাজ চড়া থাকে তবে দেয়ালের রঙ কিংবা ফ্যাব্রিক তার মাঝে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে। আবার বাইরের হাওয়ার শীতল পরশ যদি ঘরের রঙে মেলে তবে যে কোন উত্তপ্ত মস্তিষ্ক মুহূর্তেই ঠাণ্ডা হয়ে যেতে পারে। আপনার ঘরের রঙ বাইরের মানুষকে আপনার মেজাজের জানান দিয়ে দেয়। যদি আপনার ঘরের ইন্টেরিয়রে উজ্জ্বল রঙ প্রাধান্য পায় তবে ধরে নিতে হবে আপনি চলনে আধুনিক, বলনে আগ্রাসী, বসনে স্টাইলিস্ট আর অতিথি আপ্যায়নে রঙিন একজন। মেজাজ তৈরি বা মেজাজ পরিবর্তনে রঙের যে একটা ভূমিকা আছে তা গবেষণাতেও প্রমান পাওয়া গেছে। দেখা গেছে আনন্দ, আশা, হতাশা, আকাঙ্খা, দুঃখবোধ ইত্যাদি আবেগের নানা শ্রেণীবিভাগ জাগিয়ে তুলতে সক্ষম রঙের নানা ব্যবহার। তাই ঘরের ভেতর রঙ ব্যবহার করতে হলে আবেগের মূল্য দিয়ে তা যাচাই করে নিতে হবে। অন্দর-সজ্জার সময় মনে রাখবেন হলুদ রঙ এবং হলুদের অধিকাংশ শেড নিয়ে আসে খুশির আমেজ। সোনালি রঙেও একই এফেক্ট পাওয়া যায়, একই সঙ্গে থাকে ঐশ্বর্যের ধারা। কমলা রঙ আনন্দ আনে একই সঙ্গে আনে একটা গরম অনুভূতি। এইসব রঙ খুশির অনুভূতির পাশাপাশি নিউট্রাল কালার হিসেবেও কার্যকরি। অন্যদিকে লাল রঙ আদিম প্যাশনের প্রতীক। প্রেম, আকাঙ্ক্ষা দূনির্বার ইচ্ছাশক্তির সবটুকুই আছে লাল রঙের প্রতিটি কণায়। লাল আনন্দ আনে তাই শান্তি আনে না। যদি লালের প্রতি আপনার ভক্তি থাকে তবে লাল রঙ ব্যবহার করুন অন্য রঙের সঙ্গে সহায়ক শক্তি হিসেবে। যেমন লালের সঙ্গে গোলাপির বসবাস আপনাকে দেবে শক্তির সঙ্গে রোমান্সের সম্পর্ক। আপনি হয়ে উঠবেন আরো বেশি রোমান্টিক। আর লালপ্রেমী নন, কিন্তু রহস্যময়ী তাদের জন্য বেগুনি কিংবা বেগুনির নানা শেড কাজ করবে আরো ব্যাপকভাবে। এছাড়াও রঙের আছে আরো ভুবন। যেমন নীল রঙ মানেই শান্ত ও রোমান্টিক পরিবেশ। সবুজ আনে তাজা ও ঝরঝরে অনুভূতি। বাদামির বিভিন্ন শেড, চকলেট, কাঠের নিজস্ব রঙ আনে প্রকৃতি আর রুচির সমন্বয়। সাদাকালো এবং ধূসর রঙ ঠাণ্ডা আমেজ নিয়ে আসে এবং নিউট্রাল কালার হিসেবে পরিচিতি দেয়। কালো রঙের ব্যবহারে রহস্যময়তা তৈরি হয়। বুদ্ধির সঙ্গে কালো রঙ ব্যবহার করলে ঘরের পরিবেশে নাটকীয় পরিবর্তন নিয়ে আসা যায়। সাদা, অফ হোয়াইট, ক্রিম রঙের ব্যবহার ক্ল্যাসিক, অভিজাত, বিলাসী ইত্যাদি নানা মিশ্র অনুভূতি দেয়।
রঙের বাহার
রঙ সম্পর্কে একটি ধারণা তৈরি হওয়ার পর যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় তা হচ্ছে রঙ ছড়িয়ে দেয়া। ঘরের ভেতর রঙ ব্যবহূত হয় এমন উপাদান অনেকগুলো, যেমন ফ্লোরিং, জানালা, দরজা, পর্দা, দেয়াল, বেড কাভার, ফার্নিচার সবকিছুর জন্য রঙ হতে পারে ভিন্ন ভিন্ন স্বপ্নের সন্ধান দানকারী। রঙ বাছাইয়ের পূর্বে রঙ কতগুলো নেবেন তা নিয়ে ভাবতে হবে। কেননা ঘরের ভেতর রঙের বাজার বসিয়ে আপনার লাভ নেই যদি না এশিয়ান পেইন্ট কিংবা বার্জারের ডিরেক্টর তা দেখতে আসেন। আপনার ঘর আপনার, তবুও আপনার ঘরে অন্যের রুচির প্রভাব ফেলে। তাই রঙ করতে হলে একটি দুটি কিংবা তিনটির বেশি রঙের উপাদান ভাববেন না। মনে রাখবেন রঙের সমন্বয় যেমন গ্রামার মেনে হয় তেমনি রুচি মেলালেও গ্রামার তৈরি হয়। আপনার মুড, ঘরের আসবাবের ধরন, ঘরের সাইজ, টাইলস বা দেয়ালের ধরন ইত্যাদি আপনার রঙ সিলেকশনে ভূমিকা রাখবে।

ফ্ল্যাট বা বাড়ি যাই হোক না কেন রঙ বাছাইয়ে তার মাপের উপর খেয়াল রাখতে হবে। যে কোনো স্থান আয়তনে কিছুটা বড় দেখায় বারবার একই রঙের ব্যবহারে। আবার শীতল রঙ ব্যবহার করলে স্পেস কিছুটা হলেও চোখের আয়তনে বেড়ে যায়। অন্যদিকে ওয়ান কালার ব্যবহার করলে ঘর ছোট হয়ে ওঠে। আবার ছোট জায়গার দেয়াল সাদা রঙে অনেক বড় দেখায়। ছাদ আর ফ্লোর দুটোই যদি সাদা হয় তবে দৃষ্টিসীমা বেড়ে যায় বলে ঘর বড় মনে হয়। ঘরের রঙ আপনার পছন্দকে প্রতিনিধিত্ব করে তাই রঙ নির্বাচনে আপনার সিদ্ধান্ত যেমন চুড়ান্ত তেমনি রঙ দেখে আপনার সম্পর্কে অন্যের ভাবনাও চূড়ান্ত। রঙ করার কেউ যেন আপনাকে না ভাবে আপনার ঘরটি জোকারের জামা-কাপড়। আপনার ঘর যেন আপনার রুচির সঠিক আয়না হয়।

Thursday, February 23, 2012

১২টি উপায়ে কমান বিদ্যুৎ বিল

১২টি উপায়ে কমান বিদ্যুৎ বিল
-  ফজলুল করিম রনি



বর্তমান সময়ে সকলের জন্যই বিদ্যু বিল একটা ভীতিতে পরিণত হয়েছে। ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে বিদ্যুতের দাম, আর সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বড় হচ্ছে যেন বিলের পরিমাণ। এই বিদ্যু বিল দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা এখন সাধারণ মানুষের।
কিন্তু কি- বা করার আছে। বিল বেড়েছে বলে তো বিদ্যু ব্যবহার বন্ধ করে দেয়া যায় না। খুব টেনেটুনে খরচ করলেও কিছু ব্যবহার আছে সেগুলো তো করতেই হয়, তাই না? কিংবা হয়তো আপনি খুব হিশাব করে খরচ করেন, তবুও কমাতে পারছেন না বিদ্যু বিল... হয় না এমন?
আসুন, আজ আলোচনা করা যাক এমন ১২টি উপায় নিয়ে যার মাধ্যমে আপনি অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারবেন বিদ্যু বিল। যত দিন যাবে, বিদ্যুতের মূল্য ততই বাড়বে। কেবল আমাদের দেশে নয়, সারা পৃথিবীতেই বাড়বে। সুতরাং এখনই সু অভ্যাস তৈরি করে নেয়া জরুরি।
  • - সবার প্রথমে বাড়ির বাল্ব এবং টিউব লাইট গুলো বদলে নিন এনার্জি সেভিং লাইট দিয়ে। এনার্জি সেভিং লাইটের দামটা একটু বেশী সত্য। কিন্তু এই লাইট টিকে অনেকদিন, আর বিদ্যু এত বেশী পরিমাণ বাঁচাবে যে পরের মাসে বিদ্যু বিল দেখেই আপনার মনটা আনন্দে ভরে উঠবে। একবার একটু খরচ করে লাগিয়ে ফেললে আর কোনও টেনশন নেই।
  • - বাড়িতে কাপড় ইস্ত্রি করা বন্ধ করে দিন। প্রয়োজন হলে দোকান থেকে ইস্ত্রি করিয়ে আনুন। ইস্ত্রি নামক যন্ত্রটা ভয়াবহ বিদ্যু খেকো। তাছাড়া ইস্ত্রি করা কাপড় পরা শেষে সুন্দর করে ভাঁজ করে রাখলেও পরিপাটি থাকে। যারা বাড়িতে ইস্ত্রি করেন, তারা এই উপায়ে খরচ বাঁচাতে পারেন।
  • - এসি ছেড়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন না। কয়েক ঘণ্টা এসি চালিয়ে ঘর ঠাণ্ডা করে নিন, তারপর বন্ধ করে দিন ফ্যান চালিয়ে নিন। দরজজানালা বন্ধ রাখলে অনেকটা সময় ঘর ঠাণ্ডা থাকবে।
  • - গিজার বা হিটার চালিয়ে রাখা বন্ধ রাখুন। অন করে পানি গরম করে নিন। প্রয়োজনীয় গরম হয়ে গেলে বন্ধ করে দিন। সম্ভব হলে চুলাতেই গরম করে নিন পানি।
  • - কি দরকার হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করে? জানেন কত বিদ্যু টানে এটা? বাতাসেই শুকিয়ে নিন না চুল। বিদ্যু বিল তো কমবেই, সাথে চুলের ক্ষতিও হবে না।
  • - ঘর থেকে বের হবার সময় লাইট ফ্যানের সুই বন্ধ করে ফেলা অভ্যাস করুন। মিনিটের জন্য বের হলেও বন্ধ করে যাবেন সুইচ গুলো এক মাস অভ্যাস করেই দেখুন না কতটা সাশ্রয় হয়।
  • - ওভেন চালবার অভ্যাস পরিহার করুন। বিশেষ করে মাইক্রো ওয়েভ। এই যন্ত্রটি আক্ষরিক অর্থেই বিদ্যু খেকো। চুলাতেই গরম করে নিন না খাবার দাবার, কি দরকার ওভেনের?
  • - অনেকেই আছেন রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কম্পিউটার ছেড়ে রাখেন, কিংবা বাড়ির পাওয়ার বাটন গুলো অন করে রাখেন। কেউ গিজার, কেউ এসি ছেড়ে রাখেন। কেবল কষ্ট করে বন্ধ করতে হবে বা পুনরায় ছাড়তে হবে- এমন আলসেমি ভাবনায় এই কাজটা করবেন না। যেটা এই মুহূর্তে লাগছে না, সেটা বন্ধ করে দিন। বিন্দু বিন্দু করেই কিন্তু সিন্ধু হয়।
  • - ওয়াশিং মেশিন নামক যন্ত্রটি ব্যবহার বন্ধ করুন। কেবল বিদ্যু নয়, পানিরও অপচয় করে এই বস্তুটি।
  • - অনেকের বাসাতেই একটি বাড়তি ডিপ ফ্রিজ থাকে। ভালকরে দেখুন তো, তেমন জরুরি কিছু আছে কিনা আপনার ফ্রিজে। যদি না থেকে থাকে তো বন্ধ করে দিন না। আবার রাখার মতন জিনিশ হলে তখন না হয় চালু করবেন।
  • - রাইস কুকার, কারি কুকার ইত্যাদি যন্ত্র গুলো নেহাত ঠেকায় না পড়লে ব্যবহার করবেন না। টেবিল ল্যাম্প ব্যবহার করার সময় ঘরের অন্য বাতিটি নিভিয়ে দিন।
  • - ঘরের জানালা গুলো খুলে পরদেয়া সরিয়ে রাখা অভ্যাস করুন। অযথা ভারী পরদা দিয়ে দিনের আলোকে বাঁধা না দিয়ে বরং িনের আলোতেই কাজ করা অভ্যাস করুন।

রান্নার কাজে গ্যাস সিলিন্ডার

রান্নার কাজে গ্যাস সিলিন্ডার

 - সাজেন

 

গ্যাস সমস্যা এখন চরমে। খোদ ঢাকার অনেক এলাকায় এখন গ্যাস থাকে না বললেই চলে। আর ঢাকার বাইরে অনেক জেলায় এখনো গ্যাস যায়ইনি। গ্যাস না থাকায় প্রতিদিন বাইরে খাওয়া-দাওয়া করার মতো অবস্থা অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের নেই। তাই কখন গ্যাস আসবে কী আসবে না, এই নিয়ে চিন্তা-ভাবনা না করেই অধিকাংশ বাসার গৃহিণীরা রান্নার কাজে কাঠ কিংবা অন্য জ্বালানি ব্যবহার করে থাকেন। অনেক বাড়িতে আবার কাঠ ও জ্বালানি ব্যবহার করার সুযোগ না থাকায় জ্বালানি হিসেবে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এলপিজি বা লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস। এই গ্যাস বিশেষ প্রক্রিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডারে ভর্তি করে রান্নার কাজে সরবরাহ করা হয়। এলপিজি গ্যাস ব্যবহার করার আবার একটা সুবিধাও রয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করার সময় প্রতিদিন রান্নাবান্নায় আপনি কতটুকু গ্যাস খরচ করছেন এবং প্রতি মাসে গ্যাসের পিছে কত টাকা খরচ হচ্ছে, তার একটা হিসাব থাকে। ুআর এখনকার সময় সবকিছুর দাম যেমন বেড়ে গেছে, তাই প্রতিদিন রান্নার কাজের ক্ষেত্রেও কিছুটা হিসেব মোতাবেক চলাই ভালো। তাই এবার এলপিজি গ্যাসের কিছু খুঁটিনাটি তথ্য ও দরদাম দেয়া হলো।
গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার পদ্ধতি : রান্নাবান্না করার ক্ষেত্রে আপনারা যে কোনো কোম্পানির এলপিজি গ্যাস ব্যবহার করতে পারেন। আমাদের দেশের ৪/৫ টি কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে। এসব কোম্পানীর গ্যাস সিলিন্ডার শেষ হবার পর তা ফেরত দিলে নতুন আরেকটি গ্যাস সিলিন্ডার আপনাকে দেয়া হবে।
গ্যাস সিলিন্ডারের দরদাম : সিঙ্গেল এবং ডবল চুলার হিসেবে দু’ধরনের গ্যাস সিলিন্ডার বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে। বাজারের যে কোনো কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডারের দাম একই। সিঙ্গেল চুলার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম পড়বে ২৯৫০ টাকা এবং ডাবল চুলার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম পড়বে ৩১৫০ টাকা। শুধু গ্যাসের জন্যই নেয়া হয় ৭৫০ টাকা। ১২ কেজি গ্যাসের দাম নেয়া হয় ৭৫০ টাকা এবং ৩৬ কেজি গ্যাসের দাম নেয়া হয় ২২০০ টাকা। রান্নাবান্না করার সমায় ১২ কেজি গ্যাস দিয়ে প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা রান্না করলে সিঙ্গেল চুলায় আপনি এক মাস রান্নার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাত্ বুঝতেই পারছেন এর কার্যক্ষমতা ৯০ ঘণ্টা। আর ৩৬ কেজি গ্যাস দিয়ে আপনি প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা রান্না করলে সিঙ্গেল চুলায় ৩ মাস রান্না করতে পারবেন। ৩৬ কেজি গ্যাসের কার্যক্ষমতা ২৭০ ঘণ্টা। ৩৬ কেজি গ্যাসের দাম নেয়া হয় ২২০০ টাকা এবং শুধু সিলিন্ডারের দাম পড়বে ৩৩০০ টাকা।
গ্যাস সিলিন্ডার লাগানোর নিয়ম-কানুন : গ্যাস সিলিন্ডার লাগানো তেমন কঠিন কিছুই নয়, খুবই সহজে গ্যাসের চুলার সঙ্গে গ্যাস সিলিন্ডারের সংযোগ লাগিয়ে নেয়া যায়। গ্যাস সিলিন্ডারের সঙ্গে রেগুলেটর, ক্লিপ, রাবার হোম বা পাইপ লাগিয়ে পরে চুলার সঙ্গে সংযোগ দিতে হয়। তারপরও আপনারা যদি নিজে থেকে গ্যাস সিলিন্ডার না লাগাতে চান, তাহলে যে শোরুম কিংবা ডিলারের কাছ থেকে কিনবেন তাদের যে কোনো মিস্ত্রি আপনার বাসায় এসে চুলার সঙ্গে গ্যাস সিলিন্ডারের সংযোগ লাগিয়ে দিয়ে যাবে। তবে মিস্ত্রি ফিটিং চার্জ হিসেবে ৫০ কিংবা ১০০ টাকা দিতে হবে।
ব্যবহারের আগে নিরাপত্তা : হঠাত্ করেই ঘটে যেতে পারে যে কোনো ধরনের বড় দুর্ঘটনা। তাই গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করার আগে অবশ্যই কিছুটা নিরাপত্তার প্রয়োজন রয়েছে। এলপি একটি দাহ্য গ্যাস। একটু যদি সতর্কতা অবলম্বন করেন, তাহলে বিপদ থেকে খুব সহজেই উদ্ধার পাওয়া যেতে পারে। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের কিছু সতর্কতা।
* সঠিকভাবে সিল করা হয়নি এমন কোনো সংযোগ স্থান থেকে সহজে গ্যাস বের হয়ে আসতে পারে। তাই ব্যবহারের আগে ও পরে নিশ্চিত হতে হবে গ্যাস বাল্ব ঠিকভাবে লাগানো হয়েছে কি-না। ঘনীভূত এবং অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় এলপিজি বিস্ফোরণের ঝুঁকি থাকে।
* প্রতিদিন নিয়মিত গ্যাস লিক পরীক্ষা করুন, তবে আগুন বা দিয়াশলাই জ্বালিয়ে গ্যাস লিক পরীক্ষা করতে যাবেন না। কারণ এতে আপনি যে কোনো ধরনের বড় দুর্ঘটনার মধ্যে পড়তে পারেন।
* প্রতিদিন নিয়মিত গ্যাস ব্যবহারের পর সিলিন্ডার বা ট্যাঙ্ক বাল্ব বন্ধ রাখুন। এলপি গ্যাস গন্ধযুক্ত। গ্যাসের গন্ধ বের হলে বুঝবেন গ্যাস লিক করেছে। যদি এমন হয় তাহলে রেগুলেটরের সাহায্যে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করুন। চুলা বন্ধ করে আগুনের উত্স সরিয়ে ফেলুন। এছাড়াও সব সময় রান্নাঘরের দরজা-জানালা খোলা রাখবেন।
* গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটর শিশুদের হাতের নাগালের বাইরে নিরাপদ স্থানে ব্যবহার করবেন।
কীভাবে বুঝবেন গ্যাস সিলিন্ডারে কতটুকু গ্যাস বাকি আছে : প্রতিদিন রান্নাবান্না করার পর সিলিন্ডারে কতটুকু গ্যাস আছে তা জানা কিন্তু খুবই জরুরি। কেননা রান্না করার সময় হঠাত্ করে গ্যাস শেষ হয়ে গেল তখন কিন্তু পড়তে হবে দারুণ মসিবতে। সিলিন্ডারে কতটুকু গ্যাস আছে সেটি সিলিন্ডারের ওজন মেপে বোঝা যায়। এলপিজিসহ সিলিন্ডারের ওজন থেকে শুধু সিলিন্ডারের ওজন বাদ দিলে এলপিজির পরিমাণ জানা যাবে। এছাড়াও কিছু সিলিন্ডারে দাগ কাটা থাকে এবং বাইরে স্বচ্ছ পরিমাপক যন্ত্র থাকে। তাপমাত্রার সঙ্গে সঙ্গে রংয়ের পরিবর্তনের মাধ্যমে এর পরিমাণ জানা যাবে। সহজভাবে সিলিন্ডারের বাইরে যতটুকু অংশ ঘামবে, বুঝতে হবে সিলিন্ডারের ভেতর সে পরিমাণ গ্যাস রয়েছে।
যেসব জায়গায় পাবেন : গ্রিন রোড, আলু বাজার, মিরপুর, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী, টিপু সুলতান রোড, পোস্তগলাসহ আরও বিভিন্ন মার্কেটের শোরুমগুলোতে পাওয়া যাবে।

ক্রিস্টালের স্বচ্ছতায় হেসে উঠুক ঘর

ক্রিস্টালের স্বচ্ছতায় হেসে উঠুক ঘর

- নাহিদ আনজুম সিদ্দিকী

 

সুন্দরের স্বচ্ছতা যে কোনো মানুষকে আকর্ষণ করে, করে আনন্দিত। আর সে জন্যই বোধকরি ক্রিস্টালের সৌন্দর্য আমাদের ভালো লাগে। ক্রিস্টাল কোনো আইটেম কিনতে হলে চিনতে হবে কোনটা ক্রিস্টাল আর কোনটা নয়। কারণ আমাদের দেশে অনেক সময়ই কাচের পণ্যসামগ্রীকে ক্রিস্টাল বলে চালিয়ে দেয়া হয়। ফলে এর দামও দোকানি কম রাখে। আর আমরা কম দামে ক্রিস্টালের মতো দামি শৌখিন সামগ্রী কিনে খুব জিতে গেছি ভেবে টাকা গুনতে গুনতে বাড়ি ফিরি।
ক্রিস্টাল এক ধরনের খনিজ। ফলে স্বাভাবিকবাবেই এর দাম কাচের চেয়ে বেশি হবে। এগুলো সাধারণত ব্লক শেপের হয়। অনেকটা কিউবের মতো দেখতে। ক্রিস্টালের তিনটা ভাগ প্রত্যেকেই প্রত্যেকের ডান কোণে সমান দূরত্বে থেকে সামঞ্জস্যতা রক্ষা করে।
এরকম ছোট্ট একটি লকেট আপনাকে কিনতে প্রায় আড়াই হাজার টাকা দিতে হবে দোকানিকে। এর চেয়ে বড় কোনো শোপিস বা গয়না আপনাকে এ অনুপাতে দাম হবে। তা ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০-৩০ হাজারও হতে পারে। তবে ক্রিস্টালের দাম নির্ভর করে এর কাটিং, শেপ, ঘনত্ব, সাইজ এসবের ওপর। এছাড়া উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান, এর আকৃতি আকর্ষণীয় করতে প্রযুক্তি ও শ্রমের ব্যবহারের উপরও ক্রিস্টালের দাম নির্ভর করে।
তবে ঘর সাজাতে ক্রিস্টাল একটি উল্লেখযোগ্য আউটেম সন্দেহ নেই। বড় ঘর বা ড্রইংরুম হলে পুরো একটা শোকেসে রাখুন ক্রিস্টালের শোপিস। লাইটের অ্যাঙ্গেলটা দিন এমনভাবে যেন ক্রিস্টালে পড়ে তা সঠিকভাবে রিফ্লেক্ট করে। আপনার যদি হয় ছোট্ট ড্রইংরুম শোকেসের মাঝামাঝি একটা তাকে রাখুন শুধু ক্রিস্টালের শোপিস। সেন্টার টেবিলে রাখতে পারেন ছোট কিছু শোপিস। দেখবেন ঘরের চেহারাই পাল্টে গেছে নিমেষে। শোয়ার ঘরের সাইড টেবিলে রাখতে পারেন ক্রিস্টাল মোমদানি আর সঙ্গে ছোট্ট একটা অ্যাসট্রে। সঙ্গে মানানসই টেবিল ল্যাম্প। ঘরের শোভা পরিবর্তিত হয়ে যাবে। সুন্দরের পূজারি আমরা সবাই। তাই সুন্দর যা কিছু তাই আমাদের আকর্ষণ করে। তাই দামি-দামি আসবাবের প্রাচুর্যের পরিবর্তে রুচিশীল ছোটখাটো জিনিস দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন আপনার শখের ঘরটি। ক্রিস্টালের শোপিস একটু ব্যয়বহুল। তাই আপনার সাধ ও সামর্থ্যের সামঞ্জস্যতা আপনাকেই বের করে নিতে হবে। আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে, ঘরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আসবাবপত্রে সাজানোর ওপর ঘরের শোভা অনেকখানি নির্ভর করে। ঘর আয়তনে ছোট হলে ছোট ছোট শোপিস এবং আসবাব রাখলে ঘর বড় দেখাবে। ঘর সাজানোর সময় এ বিষয়টা বিবেচনা করলে ভালো হবে। তাই ক্রিস্টালের আইটেম দিয়ে ঘর সাজাতে সাধারণ এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখা ভালো।

আদর্শ পুত্রবধূ হতে চাইলে যে ৫টি কাজ অবশ্যই করণীয়

আদর্শ পুত্রবধূ হতে চাইলে যে ৫টি কাজ অবশ্যই করণীয়



বর্তমান সময়ে বিবাহিত জীবনে সুখী এমন মানুষ কমই পাওয়া যায়। কেউ নিজের বউ নিয়ে অসুখী, আবার কেউ নিজের স্বামীকে নিয়ে। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যাটা দেখা দেয় যখন বউ-শাশুড়ির মধ্যে মনোমালিন্য হয়। বউ-শাশুড়ির মধ্যে কিছুটা মানসিক দূরত্ব থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই মানসিক দূরত্বটা যদি রীতিমতো ঝগড়াঝাঁটির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাহলে তা সৃষ্টি করে সাংসারিক অশান্তি। অনেক সময় এসব কারণে স্বামী স্ত্রীর মধ্যেও শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। এইসব সমস্যার কারণে অনেক সময় বিবাহ বিচ্ছেদও ঘটে থাকে।
শ্বশুরবাড়ির সাথে এই নিত্যদিনের মনোমালিন্য এড়িয়ে চলার আছে কিছু সহজ উপায়। এই উপায় গুলো অনুসরণের মাধ্যমে আপনি হয়ে উঠতে পারবেন আপনার শ্বশুরবাড়ির একজন আদর্শ পুত্রবধূ। সেই সঙ্গে সাংসারিক জীবনেও মিলবে শান্তি। আসুন জেনে নেয়া যাক আদর্শ পুত্রবধূ হয়ে ওঠার ৫টি উপায়।

সময় নিন

নতুন বিয়ে করে এসেই একটি পরিবারকে পুরোপুরি বুঝে ওঠা সম্ভব না। তাই বিয়ের পর একটু কিছুদিন সময় নিন। এই সময়টাতে প্রথমেই কোনো মতামত প্রদান কিংবা সিদ্ধান্ত না নেয়াই ভালো। আগে শ্বশুরবাড়ির প্রতিটি মানুষ সম্পর্কে ধারণা নিন। কার স্বভাব কেমন, কে আপনাকে পছন্দ কিংবা অপছন্দ করে ইত্যাদি জেনে নিন। চেষ্টা করুন সকলের সাথে আস্তে আস্তে মেলামেশার মাধ্যমে সহজ সম্পর্ক তৈরি করতে।

ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করুন

শ্বশুরবাড়ির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করুন। আপনি ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। আপনার সাথে আপনার শ্বশুরবাড়ির সবার মনের মিল নাও হতে পারে। কিন্তু তাই বলে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে শুধু শুধু নিজের সংসারে অশান্তি ডেকে না আনাই ভালো। বিশেষ করে আপনার সাথে আপনার শাশুড়ির সম্পর্কটি সবসময় ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখুন।

মা শাশুড়ির সমতা বজায় রাখুন

আপনার শাশুড়ি আপনার মায়ের মধ্যে সমতা বজায় রাখুন। মায়ের জন্য উপহার কিনলে শাশুড়ির জন্যও কিনুন। কিংবা মাকে দেখতে গেলে মাঝে মাঝে শাশুড়িকেও সঙ্গে নিয়ে যান। এক মূহূর্তের জন্যও ভুলে যাবেন না যে শাশুড়িও আপনার মায়ের মতই একজন। শাশুড়ির সামনে মায়ের পক্ষ নিয়ে কথা না বলাই ভালো,এতে অনেক শাশুড়িই রুষ্ট হন। তাকে সব সময়েই বুঝিয়ে দিন যে আপনার কাছে দুজনই সমান এবং আপনি দুজনকেই সম্মান করেন।

প্রত্যাশা কমিয়ে ফেলুন

বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িই মেয়েদের নিজের বাড়ি,এটা কথার কথা। বাস্তবতা এটাই যে নিজের বাড়ির মতই সব কিছু শ্বশুরবাড়িতে আশা করা ঠিক না। আপনি কি চাইছেন, আপনি কি পছন্দ করেন এসব বিষয় আপনার নিজের বাড়িতে সব খেয়াল রাখবে কারণ আপনি ছোটবেলা থেকে সেখানেই বেড়ে উঠেছেন। কিন্তু আপনার শ্বশুরবাড়িতেও সেটা আশা করে না পেলে মন খারাপ করে বসে থাকবেন না। কারণ আপনার সাথে তাদের পরিচয় খুবই স্বল্প সময়ের।

আলোচনা করুন

শ্বশুরবাড়িতে যে কোনো সমস্যায় পড়লে কিংবা কেউ মনে কষ্ট দিলে সেটশাশুড়ি স্বামীর সাথে সরাসরি আলোচনা করুন। আর ঝামেলাটি যদি শাশুড়ির সঙ্গেই হয়, তাহলেও তাকে বিনীতভাবে বুঝিয়ে বলুন যে তার আচরণে আপনি মনে কষ্ট পেয়েছেন। আর তা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে আপনার স্বামীর সাথে সমস্যাটি নিয়ে আলোচনা করুন। যে কোনো পরিস্থিতিতেই মনের কষ্ট পে রাখবেন না। মনের কষ্ট আলোচনা করে সমাধান না করে চেপে রাখলে সম্পর্কে ফাটল ধরে যায় সহজেই।

 

ঘর ধুলোবালিমুক্ত রাখতে...

ঘর ধুলোবালিমুক্ত রাখতে...

- নাঈমা আমিন

 

‘বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে...’ চলছে ঋতুরাজ বসন্তের পালা। তবে বসন্তের স্নিগ্ধ সময়ে বাড়ে ধুলোবালির ঝামেলাও। ঘরের কোনায় জমতে শুরু করে ধুলোবালির স্তর।
এখন স্থপতিরা ঘর দক্ষিণমুখী করে গড়ে তোলেন। কিন্তু ঘর দক্ষিণমুখী হলে এতে ধুলো আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়—বলছিলেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা। তাই বলে কি ঘর অপরিষ্কার ধুলোময় হয়ে থাকবে! ঘর ধুলোবালিমুক্ত করে রাখতে হলে কী করণীয় সে সম্পর্কে বলছিলেন তিনি।

জেনে নিন
 জানালা ও দরজায় ভারী পর্দা ব্যবহার করতে হবে, যাতে ঘরে ধুলোবালি সহজে ঢুকতে না পারে।
 মেঝেতে প্রতিদিন পানির ছিটা দিয়ে পরিষ্কার কাপড় ঘরের প্রতিটি কোনা মুছে ফেলতে হবে। যাতে ধুলো জমে পুরু না হয়ে থাকে। রোগজীবাণুমুক্ত রাখতে হলে সপ্তাহে অন্তত দু-তিন দিন ডেটল, স্যাভলন-জাতীয় জীবাণুনাশক পানির সঙ্গে মিশিয়ে ঘর মুছতে হবে।
 প্রতিদিন ঝাড়ু দিয়ে মেঝে পরিষ্কার করতে হবে। কার্পেট ব্যবহার করলে ব্রাশ দিয়ে তা ঝাড়তে হবে। কার্পেটের ধুলা থেকে অ্যালার্জিসহ নানা সমস্যা হতে পারে।
 ঘরের আসবাবপত্র প্রতিদিন শুকনো ও পাতলা ঝাড়ন দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। বাজারে পরিষ্কার মুরগির পালকের ঝাড়ন রয়েছে সেগুলোও ব্যবহার করা যাবে।
 কাচের আসবাব ও শোপিস মোছার জন্য বিশেষ তরল পাওয়া যায়। সেগুলো দিয়ে কিছুদিন পরপর তা পরিষ্কার করতে হবে। ক্রিস্টালের শোপিসও একই তরল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মাটির সামগ্রী পরিষ্কারের জন্য নরম ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে মাটির তৈরি যেসব সামগ্রীতে আল্পনা করা থাকে সেগুলো পরিষ্কার করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। পিতলের তৈরি ঘর সাজানোর জিনিসও শুকনো ঝাড়ন দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।
 কাচের ব্যবহূত সামগ্রী যেমন বাসনকোসন, ডিশ প্রভৃতি অবশ্যই নরম ডিটারজেন্ট কিংবা ভিমবার দিয়ে ধুয়ে বাতাসে শুকিয়ে কাপড় দিয়ে মুছে র্যাকে কিংবা শোকেসে রেখে দিতে হবে।
 কাঠের তৈরি জিনিসপত্র কখনোই পানি দিয়ে পরিষ্কার করা যাবে না। অবশ্যই শুকনো ঝাড়ন দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। তবে অটবির তৈরি কাঠের আসবাবপত্র তরল পরিষ্কারক দিয়ে পরিষ্কার করা যায়।
 ঘর সাজানোর কৃত্রিম ফুলেও জমে থাকতে পারে ধুলো। তাই সপ্তাহে অন্তত এক দিন তা শ্যাম্পু কিংবা ডিটারজেন্টের পানিতে ভিজিয়ে তারপর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।
 গদিওয়ালা আসবাব পরিষ্কার রাখার জন্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করা যেতে পারে।
 টেলিভিশনের স্ক্রিন, বইয়ের আলমারি—এসব শুকনো কাপড় দিয়ে মুছতে হবে। রেফ্রিজারেটর পরিষ্কারের জন্য ডিটারজেন্ট পাউডার ব্যবহার করে পরিষ্কার ঝাড়ন দিয়ে মুছতে হবে।
তরল পরিষ্কারক দিয়ে থাই গ্লাস মোছা যেতে পারে।

লক্ষ রাখবেন
 লোহার জিনিস বিশেষ করে রড আয়রনের জিনিসপত্রে পানি দিয়ে পরিষ্কার করা যাবে না। কেননা তাতে মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ঘরের জানালায় বড় পর্দা ব্যবহার করতে হবে, যাতে ঘরে ধুলো না জমে।
 দৈনিক কমপক্ষে একবার ঘরের প্রতিটি জিনিস পরিষ্কার করতে হবে। আর যাদের বাসা রাস্তার পাশে তাদের দিনে অন্তত দুবার ঘরের সব সামগ্রী পরিষ্কার করতে হবে।
 কাচের তৈরি জিনিস চকচকে করে রাখতে হলে লিকুইড ক্লিনার ব্যবহারের পর অবশ্যই শুকনো কাপড় দিয়ে মুছতে হবে।
 বিছানার চাদর, সোফার কভার, কুশন কভার, টেবিলের কভার ১৫ দিনে অন্তত একবার ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হয়। আর শিশুদের ঘরের জিনিসপত্র সপ্তাহে অন্তত দুবার ধোয়া ভালো।
 ঘরকে ধুলোবালিমুক্ত করতে বিভিন্ন মার্কেটে পাওয়া যায় ঝাড়ন। হতে পারে কাপড়ের ঝাড়ন, ব্রাশের ঝাড়ন, বেতের তৈরি মুরগির পালকের ঝাড়ন। ঢাকার গাউছিয়া, নিউমার্কেট, আগোরা সুপার শপ, মৌচাক মার্কেট প্রভৃতিতে পাওয়া যায় ঝাড়ন।

Source: http://archive.prothom-alo.com

 

Wednesday, February 22, 2012

মেঝের সাজে কার্পেট

মেঝের সাজে কার্পেট

লাইফস্টাইল ডেস্ক, প্রাইমনিউজ.কম.বিডি |



ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে মেঝে কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ছোট ঘর কিংবা বড় ঘর সব ধরনের ঘরেই মেঝের সাজে পরিপূর্ণতা আনতে নানা উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন।
মেঝের সাজের সবচেয়ে আগে যে বিষয়টি আসে তা হলো কার্পেট। রাজা-বাদশাদের আমলে কেবল রাজা, বাদশা, জমিদার ও সওদাগরদের ঘরেই এর ব্যবহার ছিল। তখন কার্পেট ছিল সাধারণ মানুষের ব্যবহারের নাগালের বাইরে। তবে এখন কার্পেট অহরহ ব্যবহার হচ্ছে। তবে রুমের আকার আকৃতি ও গুরুত্ব অনুসারে কার্পেট ব্যবহার করা উচিত।
ছোট ড্রইংরুম : ড্রইংরুমে সোফাসেট, ডিভান, বুকসেলফ ও শোকেস দিয়ে সাজানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে কার্পেটটি যেন পুরো ঘরজুড়ে বিছিয়ে নেওয়া যায়। তবেই ঘরটি বড় দেখাবে। দরজার কাছের জায়গাটি ফাঁকা রেখে পাপোশ বিছিয়ে নিন, তাতে কার্পেট সহজে ময়লা হবে না। ছোট ড্রইংরুমের কার্পেট একরঙা বা ছোট ছোট নকশার হলে সুন্দর ও ভালো দেখায়। আর রঙটা হালকা হলে ঘরের ডেকোরেশন ফুটে ওঠে।
বড় ড্রইংরুম : বড় ঘরে যেকোনো রং যেকোনো ডিজাইনের কার্পেট মানিয়ে যায়। এর আকার হতে পারে ডিম্বাকৃতি, গোলাকার, চারকোনা। ইচ্ছে করলে পুরো ঘরজুড়ে বা শুধু ঘরের মাঝখানে মাঝারি আকৃতির কার্পেট বিছাতে পারবেন। ডিভানগুলো ইদানীং ছোট হওয়ায় অনেকে ঘরের এক কোণে সুন্দর নকশা করা আলাদা ছোট কার্পেটে হারমোনিয়াম, তবলা ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র সেট করে সাজিয়ে রাখতে পারেন। এতে রেওয়াজের সময় বা ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে টানা-হেঁচড়া করতে হয় না।
খেয়াল রাখতে হবে জমকালোভাবে সাজানো ড্রইংরুমের কার্পেট কিছুতেই হালকা রং হলে চলে না, হতে হবে উজ্জ্বল রং; তবেই ফুটে উঠবে শৈল্পিকতা ও আভিজাত্য।
শোবার ঘর : এখানে হালকা বা গাঢ় সবুজ যেকোনোটি মানায়। নয়তো হালকা নীল বা যেকোনো হালকা রং মানায়। সবুজ ও নীল চোখের জন্য উপকারী তাই আপনি এ রঙটির দিকেই গুরুত্ব বেশি দিতে পারেন। সারা ঘরে না হলেও চলে শুধু খাটের পাশে ছোট বা ডিম্বাকৃতি বা গোল কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন।
পড়ার ঘর : রিডিং রুমের কার্পেট যেকোনো রঙেই মানিয়ে যায়, তবে এখানে নকশাটা যদি আকর্ষণীয় হয় তবে একটু ভালো লাগে। আর এই আকর্ষণীয় কার্পেট বলতে মাছ আকৃতি, চারকোনা, পাঁচকোনা, ডিম্বাকৃতি, গোলাকৃতি, গাড়ির আকৃতি, ফুল আকৃতি ও বিভিন্ন নকশার কথা বোঝায়।


বসতবসতি: খোলা হাওয়ায় বসার ঘর

বসতবসতি:

খোলা হাওয়ায় বসার ঘর

কোলাহলময় শহরে একান্ত নিজের মতো করে সময় কাটানোর জায়গার খুব অভাব। এই অবস্থায় আপনি আপনার বারান্দাকে ভিন্নভাবে সাজিয়ে তুলুন, যেখানে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিতে পারেন আপনার অবসর সময়গুলো। প্রতিটি বাসায় থাকে ছোট্ট একটি বারান্দা। যদি আপনি নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে পারেন তবে এই এক চিলতে বারান্দা হয়ে উঠতে পারে আপনার সময় কাটানোর প্রিয় স্থান। বারান্দার সাজসজ্জার মধ্যে প্রকাশ পায় আপনার সৃষ্টিকর্ম, রুচিবোধ ও ব্যক্তিত্ব। লিখেছেন সাজেদুল ইসলাম শুভ্র


একসময় বারান্দাসজ্জার প্রতি নজর না দিলেও বর্তমান সময়ে অন্দরসজ্জার পাশাপাশি বারান্দাকে সুন্দর করে সাজানোটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বারান্দাসজ্জায় ছিমছাম পরিবেশ আনতে বুদ্ধি খাটিয়ে প্রয়োজনীয় আসবাব ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে নিচু সাইজের বিভিন্ন ফার্নিচার বা মোড়া ব্যবহার করতে পারেন, যা অনেক বেশি নান্দনিক ও আরামদায়ক। যারা নিচে বসতে চান তারা নিজের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে বারান্দার এক কর্নারে পেতে দিতে পারেন কাঁথা, কুশন বা শতরঞ্জি। আবার আপনি চাইলে বারান্দায় রকিং চেয়ার বা ছোট একটা দোলনা ব্যবহার করতে পারেন। যাদের বারান্দায় বসে বই পড়ার অভ্যাস আছে, তারা বারান্দার এক কর্নারে বই রাখার তাক রাখতে পারেন, তবে এ ক্ষেত্রে বারান্দার একটি নির্দিষ্ট স্থান বাছাই করুন যেখানে বৃষ্টি পড়ার সম্ভাবনা থাকে না। তবে কোনো বারান্দায় যদি বৃষ্টির পানি পড়ার সম্ভাবনা থাকে তবে সে বারান্দায় বইয়ের তাক ব্যবহার না করা ভালো। শহরে বড় বারান্দা সহজে মেলে না। অথচ বিকেলে আড্ডা দিতে বা পূর্ণিমায় জ্যোত্স্না দেখতে বারান্দা কতই না ভালো। একটু গুছিয়ে নিলে আপনার ছোট্ট বারান্দাটাই হতে পারে অবসরের প্রিয় জায়গা। বারান্দা হোক ছোট কিংবা বড়, কীভাবে করবেন বসার ব্যবস্থা, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ফারজানা'স ব্লিসের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার ফারজানা গাজী।

 বারান্দায় বসার ব্যবস্থা করতে চাইলে প্রথমে বারান্দাটি খানিকটা উঁচু করে দিন। খেয়াল রাখুন বৃষ্টির পানি যেন গড়িয়ে বাইরে যেতে পারে।

 বারান্দা ছোট হলে কম উচ্চতার ডিভান, ছোট ছোট বেত বা বাঁশের মোড়া ও টুল দিয়ে বসার ব্যবস্থা করতে পারেন। অবসরে বই পড়ার জন্য একটা রকিং চেয়ারও রাখতে পারেন।

 বারান্দা বড় হলে ইচ্ছামতো সাজানোর সুযোগ থাকে। এখানে রাখতে পারেন ডিভান, রড আয়রন, বেত বা বাঁশের সোফা, বারান্দায় রাখা সোফা বা ডিভানে অ্যানামেল পেইন্ট করে নিন। এতে পানিতে ভিজে নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না।

 বারান্দায় ময়লা হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি, তাই ছিমছাম ডিজাইনের ফার্নিচার বেছে নিন। সোফার কভার নিন গাঢ় একরঙা। তবে কুশনগুলো কালারফুল হলেই ভালো। সোফা ও কুশন কভারে একটু সিনথেটিক কাপড় দিন। এতে বেশি ধুলেও কভার নষ্ট হবে না।

 বারান্দার দেয়ালটা সাজাতে পারেন সুন্দর করে। রং করতে চাইলে একটু গাঢ় রঙের ডিস্টেম্পার করুন। ভিন্নতা চাইলে দেয়ালে টেরাকোটা লাগাতে পারেন। আবার প্লাস্টার না করে ইটগুলো শুধু বার্নিশ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ম্যানশন পলিশ করলে দেয়াল ম্যাট দেখাবে, আবার ক্লিয়ার বার্নিশের সঙ্গে রেড অক্সাইড মিশিয়ে দেয়ালে লাগালে চকচকে দেখাবে।

 অনেক সময় বারান্দার মাঝখানে কলাম থাকে। কলামটিকে সুন্দর করে সাজালে তা বারান্দার সৌন্দর্য বাড়াতে পারে অনেকখানি। কলাম সাজাতে ব্যবহার করুন রাস্টিক টাইলস, উডেন প্যানেল, ছোট ছোট আয়না কিংবা ঝোলানো শোপিস।

 বারান্দার ফ্লোরেও বসার ব্যবস্থা করতে পারেন। এ জন্য বেছে নিন শতরঞ্জি, শীতল পাটি বা মাদুর। এর ওপর দিন বিভিন্ন আকৃতির রঙিন কিছু কুশন।

 গাছ ছাড়া বারান্দার সাজ পূর্ণতা পায় না। বিভিন্ন ধরনের ইনডোর প্লান্ট এবং ফুলের গাছ রাখুন বারান্দায়। বারান্দার সামনের অংশে ঝুলিয়ে দিতে পারেন ঝুলন্ত গাছ। খেয়াল রাখুন গাছের টবগুলো যেন দৃষ্টিনন্দন হয়। চাইলে অসুন্দর টবগুলো সুন্দর মাটির পটারিতে ভরে রাখতে পারেন।

 মাটির চাড়িতে পানি দিয়ে তাতে কিছু ফুল এবং মোম দিয়ে রাখুন এক পাশে। দেখতে বেশ লাগবে।

 বৃষ্টি থেকে বাঁচতে বারান্দায় থাই গ্লাস কিংবা বাঁশের চিক ব্যবহার করতে পারেন। কম আলোর বিভিন্ন ধরনের লাইট ব্যবহারে সংকীর্ণ বারান্দা অনেক বেশি সুন্দর হয়ে উঠতে পারে। রাতের বেলায় বারান্দায় স্নিগ্ধ লাইটগুলোর আলো-ছায়ার খেলায় পরিবেশ হয়ে উঠবে সম্পূর্ণ নান্দনিক ও ভিন্ন আঙ্গিকের। এটা যেমন দেখতে ভালো লাগবে তেমনি আপনার মনের ভেতরে আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি করবে। বারান্দায় লাইট ও রঙের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখার চেষ্টা করুন, এতে আপনার বারান্দায় অন্যরকম এক পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

তো আর কী? আপনার বাসার বারান্দাকে সাজিয়ে তুলুন একটু ব্যতিক্রমভাবে, যেখানে একান্ত নিজের মতো করে কাটিয়ে দিতে পারেন আপনার দৈনন্দিন জীবনের অলস সময়গুলো।